
কীভাবে মস্তিষ্ককে আরও বেশি তীক্ষ করে তোলা যায়, স্মতিশক্তি কী ভাবে বাড়ানো যায়, ভাবনা চিন্তা কী ভাবে আরও বেশি উন্নত করা যায় এমন প্রশ্ন মনের গভীরে সব সময় চলতেই থাকে। উৎসাহের বশে অনেকেই গুগলে তা সার্চও করে দেখেন। স্মৃতিশক্তি কী ভাবে বাড়ানো যায় এই নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্নের অন্ত নেই। রোজকার জীবনে সবার যে ভাবে কাজের চাপ বাড়ছে, একটানা কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং জীবনযাত্রার মান আগের থেকে অনেক খারাপ হওয়ায় হাজারো সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে। তার মধ্যে অন্যতম হল মানসিক সমস্যা। শিশু থেকে যুবক প্রত্যেকেরই মানসিক চাপ বাড়ছে। যার ফলে চিন্তা করার এবং কোনও কিছু বোঝার ক্ষমতা এখন কমে গিয়েছে।
কোভিড পরবর্তী সময়ে প্রত্যেকেরই জীবনে বেড়েছে কাজের চাপ। সেই সঙ্গে বেড়েছে অফিসের সময়ও। কাজ থেকে পড়াশোনা সবেতেই এত টার্গেটের গেরো থাকছে যে তার জন্য বাড়ছে মানসিক চাপ। আর মস্তিষ্কের কর্মদক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা নিজেদেরই করতে হবে। কাজ কমিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ বিশেষ নেই। তাই পরিবর্তন আনুন রোজকার খাবারের তালিকায়। আর তাই সুস্থ থাকতে যা কিছু রাখবেন রোজকার ডায়েটে-
আখরোট- ফ্ল্যাক্সসিড, আলফা, লিনোলিক অ্যাসিড এসব বেশি থাকে আখরোটের মধ্যে। যা মস্তিষ্কের জন্য খুবই কার্যকরী। যে কারণে রোজ নিয়ম করে আখরোট খাবেন।
স্যামন মাছ- রুই, কাতলা গোত্রের মাছ হল স্যামন মাছ। এই মাছের মধ্যে থাকে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা মস্তিষিকের জন্য উপকারী। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কে বেশি পরিমাণে অক্সিজেন দেয়, যা মনে রাখার ক্ষমতা বাড়ায়।
বেরি- ব্লুবেরি, ব্ল্যাকবেরি, স্ট্রবেরি এসব মস্তিষ্কের উপর ভাল প্রভাব ফেলে। যে কারণে স্মৃতিশক্তি বাড়াতে নিয়মিত বেরি খেতে পারলে ভাল। টকদই এর সঙ্গে বেরি মিশিয়েও খেতে পারেন। স্মৃতিশক্তি বাড়াতে খুব ভাল কাজ করে অ্যাভোকাডো। এই ফলের মধ্যে রয়েছে বেশি পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। তাই রোজ একটা করে খেতে পারলে খুবই ভাল।
এছাড়াও সুস্থ থাকতে রোজ ৭ ঘন্টা করে ঘুমোতেই হবে। সেই সঙ্গে রোজ নিয়ম করে ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়াও চেষ্টা করুন রোজ নতুন কোনও কিছুতে ফোকাস করতে। এতে মন ভাল থাকে আর মাথাও থাকে পরিষ্কার।