ডায়াবেটিসের সঠিক কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে দিন দিন বেড়ে চলেছে আক্রান্তের সংখ্যা। সব পাড়ার সব বাড়িতেই মিলবে ডায়াবেটিস আক্রান্তের খোঁজ। সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখার ওষুধ থাকলেও এর দীর্ঘমেয়াদি কোনও চিকিৎসা নেই। বরং ডায়াবেটিস চুপিসাড়ে শরীরের একাধিক অঙ্গ প্রত্যঙ্গের ক্ষতি করে। আর তাই সময় থাকতে থাকতেই সচেতন হতে হবে। একমাত্র ডায়েটের মাধ্যমেই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। এক্ষেত্রে বার বার চর্চায় উঠে আসে আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা। রোজকার খাবারে ক্যালোরির পরিমাণ কম করতেই হবে। পাশাপাশি নুন, চিনি, ময়দা এসব যতটা সম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। ব্লাড সুগারে প্রভাব পড়ে আবহাওয়ারও। গরমের দিনে তাপমাত্রা যত বাড়ে ততই কিন্তু বাড়ে রক্তশর্করার সম্ভাবনাও। তাই গরমের দিনে বেশি করে জল খেতে হবে। ডাবের জল, তরমুজের জুস, বিভিন্ন ডিটক্স ওয়াটার বানিয়ে বাড়িতেই খান। সঙ্গে গরমের ফল আম, তালশাঁস, লিচু, সবেদা, জামরুলও রাখুন তালিকায়। তবে যাঁদের হাই ব্লাডসুগার রয়েছে তাঁরা কিন্তু কাঁঠাল কম পরিমাণে খাবেন। ১-২ কোয়ার বেশি নয়।
ওজন বাড়লেও সেখান থেকে আসে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা। এছাড়াও রক্ত শর্করার পরিমাণ বাড়লে বিপাক ক্রিয়া কমে যায়। তাই সুগারের সমস্যা থাকলে রোজ শরীরচর্চা আবশ্যক। সেই সঙ্গে ডিহাইড্রেশন, ক্লান্তি দূর করবে এমন খাবার রাখুন। গরমে ঘাম বেশি হয়। যে কারণে শরীরের ডিটক্সিফিকেশনও ভাল হয়। এই প্রক্রিয়াকেই কাজে লাগান ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে।
ডায়াবেটিসের রোগীরা কোন পানীয় খাবেন
গরমের দিনে অন্য যে কোনও খাবারের পরিবর্তে তরলেই গলা ভেজাতে ভাল লাগে। তাই বলে কোল্ড ড্রিংক, চিনি মেশানো জুস, মিল্ক শেক এসব মোটেই বেশি পরিমাণে খাবেন না। কারণ এই সব লোভনীয় পানীয়ের মধ্যে চিনির ভাগ থাকে বেশি। পরিবর্তে ভেষজ চা, শসা ভেজানো জল, ডাবের জল, বাড়িতে বানানো নুন-চিনি-লেবুর শরবত খান বারে বারে। বানিয়ে নিতে পারেন কাঁচা আমের শরবতও।
গরমে একাধিক সবজি পাওয়া যায় যার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ জল। উচ্ছে, বেগুন, লাউ, কুমড়ো, ঢ্যাঁড়শ, ঝিঙে, পটল এসব রোজ রাখুন ডায়েটে। এই সব সবজি যেমন আমাদের ওজন কমায় তেমনই কিন্তু শরীর সুস্থ রাখতেও ভূমিকা রয়েছে। রোজ যে কোনও একটা শাক এবং সবজির তরকারি অবশ্যই রাখবেন পাতে। চেষ্টা করবেন আলু এড়িয়ে যাওয়ার। কারণ আলুর মদ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে শর্করা। ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার বেসি করে খান।
গরমে জাম, দেশি খেজুর-সহ একাধিক ফল পাওয়া যায়। আর তাই রোজকারের ডায়েটে কিন্তু ফল রাখতে ভুলবেন না। বািরের ফল নয়, সুগার ঠেকাতে ভরসা রাখুন স্থানীয় ফলেই। এছাড়াও গরমের দিনে খুব ভাল খেতে লাগে ওভার নাইট ওটস। তাই পছন্দের ফল, দুধ, বিভিন্ন বীজ আর বাদাম মিশিয়ে খান ব্রেকফাস্টে।