খাবারের মধ্যে সঠিক পরিমাণ পুষ্টি না থাকলে সেখান থেকে চোখের সমস্যা আসে। এছাড়াও একটানা মোবাইল, ল্যাপটপের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকলেও সেখান থেকে চোখের সমস্যা হতে পারে। এছাড়াও অনেকের ক্ষেত্রে চোখের সমস্যাও কিন্তু জিনগত। চোখের সমস্যা রুখতে নিয়মিত ভাবে ভিটামিন, খনিজ, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এসব খেতে হবে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ খাবার যত বেশি খাওয়া যাবে ততই কিন্তু ভাল। চোখে অতিরিক্ত চাপ পড়লে কোষ দুর্বল হয়ে পড়ে। আর যে কারণে দৃষ্টিশক্তিও ক্ষীণ হয়ে যায়। আর তাই এমন কিছু খাবার রাখুন রোজের তালিকায় যা কোষকে পুষ্টি দেবে। যে কারণে এই সব খাবারের উপরই কিন্তু বিশেষ নজর দিতে হবে-
লুটেইন এবং জিক্সানথিন- চোখের যে কোনও রকম ক্ষতি থেকে রক্ষা করে এই দুটি উপাদান। ডিম, কলমি শাক, পালং শাক, ব্রকোলি, কর্ন, মটর এবং যে কোনও শাকের মধ্যে এই উপাদান প্রচুর পরিমাণে থাকে। এছাড়াও অঙ্কুরিত ছোলা, মুগের মধ্যেও এই লুটেইন প্রচুর পরিমাণে থাকে।
ভিটামিন সি- ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ভিটামিন সি কে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড বলা হয়ে থাকে। কিউই, বেলপেপার এবং টমেটো, ব্রকোলি, পালংশাক, পেয়ারার মধ্যে এই ভিটামিন সি প্রচুর পরিমাণে থাকে। এছাড়াও কমলালেবুর রসেও প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি থাকে।
ভিটামিন ই- চোখের জন্য খুবই দরকারি একটি খাদ্য উপাদান হল ভিটামিন ই। বাদাম, সবুজ শাক সবজি, মিষ্টি আলু, অ্যাভোকাডো, উদ্ভিজ তেলের মধ্যে এই ভিটামিন ই অনেকখানি থাকে। এছাড়াও বিটা ক্যারোটিন রয়েছে এমন খাবারও বেশি করে খান। সেই তালিকায় রাখুন গাজর, মিষ্টি আলু, ডিম এবং শাক-সবজি।
ফ্যাটি অ্যাসিড- শরীরের পাশাপাশি চোখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতেও খুব কাজে আসে ফ্যাটি অ্যাসিড। সোয়াবিন, স্যামন মাছ, চিয়া সিডের মধ্যে থাকে ভাল পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে আখরোটও।
জিঙ্ক- চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দস্তার। রেড মিট, চিকেন, সামুদ্রিক খাবার, বাদাম, বিভিন্ন বীজ, সোয়াবিন, দুধ ও দুধের তৈরি খাবারের মধ্যে অনেকটা পরিমাণ জিঙ্ক থাকে। তাই দুধ, ডিম এসব রোজ খান। কিন্তু রেড মিট এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কারণ তা শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়।