ওজন ঝরানোর জন্য সকলেই কত রকম না চেষ্টা করেন। কেউ যেমন প্রতিদিন ডিটক্স ওয়াটার খান আবার কেউ কেউ জোর করে খান ব্রাউন রাইস, দই-ওটস। সব সময় যে ভাল ফল পাওয়া যায় এমনটা কিন্তু নয়। রোগা হএয়ার সহজ কিন্তু কোনও পন্থা নেই। নিয়ম মেনে চলতে পারলে তবেই ভাল ফল পাবেন। আর এই ওজন কমানো কিন্তু পুরোটাই নির্ভর করে আমাদের জীবনযাত্রার উপর। সকাল থেকে উঠে আপনি যে যে কাজ করেন, যে সব খাবার খান তার উপরই কিন্তু নির্ভর করে আপনার ওজন কেমন হবে।
সেই সঙ্গে সুষম আহার জরুরি। সব বাদ দিয়ে শুধু প্রোটিনআমন্ড খেলেন তাহলে কিন্তু হবে না। সকালে উঠে হালকা খাবার খেয়ে যদি জলখাবার খান তাহলে কিন্তু বিপাক ক্রিয়া ঠিক থাকবে। তবে খালি পেটে খেতে পারেন এই কয়েকটি খাবার। এতে কিন্তু ওজন কমবে তাড়াতাড়ি।
মধু খান- অনেকেই সকালে গরম জলে লেবু-মধু খান। এই লেবু-মধু নিয়মিত খেলে হজম ভাল হবে, সেই সঙ্গে পেটও পরিষ্কার থাকবে। বিএমআই বাড়াতেও কিন্তু সাহায্য করে মধু-লেবুর জল।
আমন্ড- আমন্ড কিন্তু পুষ্টিতে ঠাসা। প্রতিদিন যদি ৬ থেকে ৭ টা মত আমন্ড খেতে পারেন তাহলে খুব ভাল। ত্বক ভেতর থেকে ভাল হবে। চুল কম পড়বে। সেই সঙ্গে হজম ভাল হবে। কারণ আমন্ডের মধ্যে থাকে বেশ কিছু উপকারী উৎসেচক। যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে কিংবা হার্টের কোনও সমস্যা রয়েছে তাঁরা সকালে ভেজানো আমন্ড খান। এতে অনেক বেশি এনার্জি পাবেন।
পেঁপে- পেঁপের মধ্যে কিন্তু ক্যালোরি একদম নেই। সেই সঙ্গে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যাঁদের কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য পেঁপে খুব ভাল। শীতে বাড়ে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। কিন্তু যদি রোজ একবাটি করে পেঁপে খান তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই এড়ানো যাবে। যাঁরা মিষ্টি খেতে পছন্দ করেন কিন্তু খেতে পারেন না তাঁরাও এবশ্যই খান পেঁপে। সকালে খালিপেটে একবাটি পেঁপে খেলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়।
খেজুর- খেজুরের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় খনিজ উপাদান এবং ভিটামিন। খেজুর আমাদের হজমে সাহায্য করে। যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে তাঁরাও কিন্তু প্রতিদিন ২ টো করে খেজুর খেতেই পারেন। প্রতিদিন ২ টো শুকনো খেজুর, আমন্ড আর আখরোটে দিন শুরু করুন। এতে শরীর ভাল থাকবে, পর্যাপ্ত পুষ্টি পাবে সেই সঙ্গে কমবে ওজনও। এছাড়াও খেজুরের মধ্যে রয়েছে খেজুরের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন এ, বি ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, সালফার, প্রোটিন, ফাইবার এবং আয়রন।
আরও পড়ুন: Milk preservation: ফ্রিজে দুধ রাখলেই তা কেটে যাচ্ছে? এই ভাবে রাখলে দুধ অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকবে!