বয়স ৭ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। সদ্য খাবার খেতে শিখেছে খুদে। দুধ ছাড়াও এবার একটু একটু করে অন্য খাবারের স্বাদ পেতে শুরু করেছে। কিন্তু এই অবস্থায় কোন খাবার আপনার শিশুর জন্য উপকারী আর কোনটায় তৈরি হতে পারে সমস্যা- এই নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকেই। এই সময় একরত্তিকে এমন খাবার দেওয়া উচিত যাতে তার শরীরের সমস্ত পুষ্টির চাহিদা পূরণ হবে এবং সহজপাচ্য। এই ক্ষেত্রে আপনি একরত্তিকে আপেল সেদ্ধ খাওয়াতে পারেন।
কথায় রয়েছে, রোজ একটা করে আপেল খেলে ডাক্তারের থেকে দূরে থাকা যায়। শিশুদের ক্ষেত্রেও এই কথাটা ব্যতিক্রম নয়। আপেলের মধ্যে ফাইবার রয়েছে। এটি শিশুর অন্ত্রের জন্য উপকারী। পাশাপাশি এই খাবারটি সহজপাচ্য। আপেলের মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, এটি শিশুর শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। ছয় মাস পর্যন্ত বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত। এরপর ধীরে ধীরে খাবার খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করতে হয়। কিন্তু প্রথমেই দানাযুক্ত খাবার একদম দেবেন না। আপেল সেদ্ধ সহজেই খাওয়ানো যাবে শিশুকে এবং আপনার শিশুর হজমে সাহায্য হবে।
যখন শিশুরা ৬ মাস পর দুধ বাদ দিয়ে প্রথম খাবার খেতে শেখে তখন তাদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। এর কারণ তাদের পরিপাকতন্ত্র কিছুটা সময় নেই এই পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে। এই সময় আপেলের পিউরি খাওয়ালে শিশুদের মধ্যে অনিয়মিত মলত্যাগের সমস্যা দূর হয়ে যায়। আপেলের মধ্যে দ্রবণীয় এবং অদ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে। কীভাবে আপেল সেদ্ধ বা আপেলের পিউরি তৈরি করবেন, দেখে নিন…
আপেলের পিউরি তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
একটি আপেল, দু’কাপ মতো জল, এক চিমটে দারুচিনি, সামান্য দুধ।
আপেলের পিউরি তৈরি করার পদ্ধতি:
আপেলটা ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। আপেলটা ছোট ছোট কিউব আকারে কেটে নিন। এবার একটা প্রেসার কুকার নিন। এতে দু’কাপ মতো জল দিন। এতে আপেলের টুকরোগুলো দিয়ে ২০ মিনিট সেদ্ধ করে নিন। খেয়াল রাখুন আপেলটা যেন ভাল করে সেদ্ধ হয়। আপেল নরম না হলে শিশুর খেতে সমস্যা হতে পারে। আপেল সেদ্ধ হয়ে গেলে আপেলটা বের করে নিন এবং ঠান্ডা হতে দিন।
এবার ব্লেন্ডারে আপেলের টুকরোগুলো দিয়ে ভাল করে ব্লেন্ড করে নিন। একটি মসৃণ মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার এতে স্বাদের জন্য এক চিমটে দারুচিনির গুঁড়ো যোগ করুন। আপনি চাইলে দারুচিনির গুঁড়ো নাও দিতে পারেন। এবার এতে সামান্য দুধ মিশিয়ে মিশ্রণটিকে ঘন করুন। ব্যস তৈরি আপনার আপেলের পিউরি।