
গ্রাম বাংলার এমন কিছু খাবার আছে যা অধিকাংশ মানুষই জানেন না। সেই সব খাবারের মধ্যে পুষ্টি প্রচুর পরিমাণে থাকে। ডুমুর, মোচা, থোড়, কচু এসব খাবার শরীরের জন্য খুব ভাল। এছাড়াও রয়েছে গেঁড়ি। চোখের জন্য যা খুব ভাল। তবে যেহেতু গ্রামের দিকে এই সব খাবারের চল বেশি তাই আজকের শহুরে সমাজে এদের কদর একেবারেই নেই। এই তালিকায় রয়েছে ছোট পেঁয়াজ বা ছাঁচি পেঁয়াজও। আগেকার দিনে মানুষ এই ছোট পেঁয়াজ সেই ভাবে ছুঁয়েও দেখতেন না। প্রচুর পরিমাণে চাষও হত। বর্তমানে রোদ গরমের দিনে এই ছোট পেঁয়াজের খুব দর বেড়েছে। বর্তমানে দর প্রায় ১০০ টাকা প্রতি কেজি ছুঁয়ে ফেলেছে। পাইকারি বাজারে ৪০ কেজির বস্তা প্রায় চার হাজার টাকা। সৌজন্যে পেঁয়াজের আকাল। মানুষ এখন এই ছোট পেঁয়াজের উপকারিতা সম্বন্ধেও আগের চাইতে বেশি সচেতন হয়েছেন।
এই ছোট পেঁয়াজ চুলের জন্য খুবই ভাল। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ সালফেট। যা থেঁতো করে দিলে চুলের গোড়া শক্ত থাকে। এছাড়াও বিভিন্ন রকম সংক্রমণ রোধ করতেও কাজে আসে এই ছাঁচি পেঁয়াজ। কাঁচা পেঁয়াজের মধ্যে রয়েছে একাধিক উপাদান। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে অ্যান্টি অ্যালার্জিক, অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি কার্সিনোজেকিক বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ, সি, বি কমপ্লেক্স, আয়রন, ফোলেট, পটাশিয়াম। আছে প্রচুর পরিমাণ সালফিউরিক অ্যাসিড এবং ফ্ল্যাভিনয়েড। আর তাই কাঁচা পেঁয়াজ খেতে পারলে সবচাইতে ভাল। এছাড়াও খেতে পারেন রান্না করে।
গরম যেভাবে বাড়ছে তাতে এই কাঁচা পেঁয়াজ খুব ভাল কাজ করে। ছোট পেঁয়াজের খোসা ছাড়ানো ঝামেলার বলে অনেকেই তা কিনতে চাইতেন না। তবে উপকারিতার খাতিরে আজকাল কদর বেড়েছে এই পেঁয়াজের। গরম ভাত কিংবা মুড়ির সঙ্গে কামড়ে খেতে পারেন। আবার ডাল কিংবা ঝোলে গোটা গোটা ফেলেও দিতে পারেন। এই পেঁয়াজ সিদ্ধ হলেও খেতে বেশ লাগে। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্যেও ভাল এই পেঁয়াজ। এই পেঁয়াজে শর্করার পরিমাণ কম আর খেলে শরীরও ভাল থাকে। এই পেঁয়াজের ঝাঁঝ অন্য বড় পেঁয়াজের তুলনায় বেশি আর তাই তা এত ভাল শরীরের জন্য।