
আজকাল ডায়াবেটিসের রোগী ঘরে-ঘরে। রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়লেই খাওয়া-দাওয়ার উপর বাধানিষেধ শুরু হয়ে যায়। খাওয়া-দাওয়াকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে সুগারও বাড়তে থাকে। চিনি খাওয়া বন্ধ করলেই যে সুগার বাগে চলে আসবে, তা নয়। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত, প্যাকেটজাত, মশলাদার খাবার খাওয়াও কমাতে হয়। কিন্তু মাঝেমধ্যে মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও হয়। এক্ষেত্রেও আপনাকে বাড়ির তৈরি খাবারের উপর ভরসা রাখতে হবে।
ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী করলা। এটি সবজি রক্তে শর্করার মাত্রাকে বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই মুখরোচক খাবার ইচ্ছে হলে করলা দিয়ে বানাতে পারেন টিক্কি। এই রেসিপিতে করলার পাশাপাশি টিক্কি ভাজার জন্য বাদাম তেল ব্যবহার করা হয়। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বাদাম তেল উপকারী। এতে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায় না এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও নেই। তাই এই খাবারে সুগার বাড়বে না। পাশাপাশি বৃষ্টির দিনে মুখরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও পূরণ হয়ে যাবে।
করলার টিক্কি বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
২টো বড় করলা, ১/২ কাপ লো-ফ্যাট পনির (গ্রেট করা), ১টা পেঁয়াজ, ২টো কাঁচা লঙ্কা, ১ ইঞ্চি আদা, ৪ কোয়া রসুন, ১/২ কাপ ধনে পাতা কুচি, ১ কাপ বেসন, ১ চামচ আমচুর পাউডার বা চাট মশলা, ১ চামচ লাল লঙ্কার গুঁড়ো, ১/২ চামচ হলুদ গুঁড়ো, ১/২ চামচ জোয়ান, স্বাদ অনুযায়ী নুন আর ভাজার জন্য অল্প বাদাম তেল।
করলার টিক্কি তৈরি করার সহজ পদ্ধতি:
করলা ছোট ছোট করে কেটে নিন। নুন জলে ৩০ মিনিট করলা ডুবিয়ে রাখুন। এতে করলা তিক্ত স্বাদ কমে যাবে। এরপর মিক্সিতে করলার কুচি দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। মিশ্রণ থেকে হাতে করে চেপে জল বের করে নিন। তারপর করলার পেস্ট অল্প নুন মিশিয়ে রেখে দিন। ৩০ মিনিট পর দেখবেন করলার পেস্ট থেকে জল বেরোচ্ছ। হাতে করে চেপে মিশ্রণ থেকে নিংড়ে নিন। এভাবে করলা টিক্কি বানালে তেঁতো স্বাদ হবে না।
পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, আদা, রসুন ও ধনে পাতা কুচিয়ে নিন। তারপর উপকরণগুলো একসঙ্গে ভাল করে মিশিয়ে দিন। এরপর করলার পেস্টের সঙ্গে পেঁয়াজের মিশ্রণটি মিশিয়ে দিন। তারপর এতে পরিমাণমতো লঙ্কা-হলুদ গুঁড়ো, জোয়ান ও বেসন মিশিয়ে দিন। এবার এতে স্বাদমতো নুন মিশিয়ে দিন।
ফ্রাইং প্যানে অল্প তেল গরম করুন। করলার মিশ্রণ থেকে অল্প-অল্প মিশ্রণ নিয়ে টিক্কির আকারে গড়ে নিন। তারপর মাঝারি আঁচে রেখে টিক্কিগুলো ভেজে নিন। পুদিনার চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম গরম করলার টিক্কি।