
শীত কাল মানেই বাজার ভরে থরে থরে শাকসবজি। তবে, নরম রোদের সকালে কচি পালং-এর হাতছানি এড়িয়ে চলা বেজায় কঠিন বাঙালির কাছে। পালং আয়রনে ভরপুর। সেই সঙ্গে আছে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও

কেবল ঘন্টতে থেমে না থেকে পালং দিয়ে রেঁধে ফেলতে পারেন হরেক রকমের পদ। তৈরি করতে পারেন স্টার্টার থেকে ডেজার্টও। আজ রইল পালং-এর অন্যরকমের রেসিপি, যা আগে কখনও খাননি। পালং চিকেন, পালং পনির খেতেও বেশ লাগে। আবার পালং দিয়েও তৈরি করা যায় সুস্বাদু সব কাবাবও

আজ বানিয়ে নিন সোহাগিনী পালং। নাম শুনেই অন্য রকম লাগছে তো? পালং এর এই রেসিপি খুবই আদরমাখা। দেখে নিন উপকরণ কী কী, পালং শাক, মুলো, কড়াইশুঁটি, গাজর, জয়িত্রী গুঁড়ো, বিউলির ডালের বড়ি, শুকনো লঙ্কা, খোয়া ক্ষীর, নুন, চিনি আর ঘি

প্রথমে কড়াইতে তেল গরম করে বড়িগুলো ভেজে নিন। এর পর তাতে জয়িত্রী গুঁড়ো ও শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিন। এবার দিন বাকি সব সবজি। অর্থাৎ মুলো, গাজর, কড়াইশুঁটি

একটু নাড়াচাড়া করে পালং শাক দিয়ে নুন ও চিনি দিয়ে দিন। ঢিমে আঁচে রেঁধে নিন, এর পর ঘি, অল্প খোয়া ক্ষীর ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। উপর থেকে ভাজা বড়ি দিয়ে পরিবেশন করুন

রোজই তো সাদা লুচি খান, এবার বানাতে পারেন সবুজ লুচি। বাড়ির ছোট্ট খুদেরাও আনন্দের সঙ্গে খেয়ে নেবে। উপরি পাওনা হিসেবে জুটবে পুষ্টিগুণ। আর এরকম সবুজ লুচিদেখতেও খুব ভাল লাগে

যা যা লাগছে- সবুজ লুচি বানাতে গেলে লাগবে ময়দা, নুন, চিনি, পালং শাক ও সাদা তেল। যা ভাজার জন্য ব্যবহার করা হবে। পালং শাক বেছে নিয়ে তার পর সেটা ভালো করে বেটে নিন। এই পালং শাকের ক্বাথ ছাঁকনিতে ছেঁকে একটা কাপে ভালো করে ভরে নিন। এর পর ময়দায় নুন, চিনি মিশিয়ে নিন

ময়দার সঙ্গে পালং শাকের ক্বাথ মিশিয়ে নিন। মাখার সময় পালং-এর সিদ্ধ করা জলটা দিন। ভালো করে মেখে নিয়ে বেলে নিন। এর পর সাদা তেল গরম করে একে একে লুচিগুলো ভেজে নিন