পায়েস, পোলাও কিংবা কেকের সঙ্গে কিশমিশ মেশানো হয়। তা কিন্তু শুধুমাত্র স্বাদ বাড়ানোর জন্য নয় এর অনেক উপকারিতাও রয়েছে। কিশমিশ আমাদের শরীরে যেমন রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে তেমনই কিন্তু ক্যানসার প্রতিরোধেও সাহায্য করে। এছাড়াও অন্ত্রের সমস্যা রুখতেও ভূমিকা রয়েছে এই কিশমিশের। যে কোনও ড্রাইফ্রুটসই আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। তবে তা নিয়ম মেনে খেতে হবে। নইলে কিন্তু ওজন বেড়ে যাওয়ার মত সম্ভাবনাও থাকে। আজকাল অনেক কম বয়স থেকেই মহিলাদের মধ্যে আসছে আর্থ্রাইটিসের সমস্যাও। যেখান থেকে ব্যথা, জ্বালার মত সমস্যা লেগেই থাকে। কিন্তু ঠিক ভাবে কিশমিশ খেতে পারলে ওজনও কমে।
মহিলাদের দিনে ১৫ টি কিশমিশ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। যেখানে পুরুষদের জন্য কিশমিশ খাওয়ার কথা বলা হচ্ছে ২০ টা। তবে কিশমিশ কিন্তু কখনই শুকনো খাবেন না সব সময় ভিজিয়ে খাবেন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১৫ টা কিশমিশ একগ্লাস জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে খালি পেটে তা ছেঁকে খেয়ে নিন। এতে কিশমিশের মধ্যে থাকা খনিজ, ভিটামিন জলে দ্রবীভূত হয়। ফলে কিশমিশ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টি শরীর পায়।
বেশ কিছু গবেষণাতে দেখা গিয়েছে, রাতারাতি ভিজিয়ে রাখা কিশমিশ খেলে শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বেড়ে যায়। আর এতে শরীরে আয়রনের পরিমাণও বাড়ে। যাঁদের রক্তাল্পতার সমস্যা রয়েছে তাঁরা নিয়মিত ভাবে এই জল খেতে পারলে কিন্তু উপকার পাবেন। বাড়বে লোহিত রক্তকণিকার সংখ্যাও। এছাড়াও জলে কিশমিশ ফেলে সিদ্ধ করেও কিন্তু সেই জল ছেঁকে খেতে পারেন। কিশমিশ জল ওজন কমানোর পাশাপাশি কিন্তু শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও সাহায্য করে। যা এই গরমে ভীষণ রকম জরুরি। দু-কাপ জলে ১৫০ গ্রাম কিশমিশ ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। এবার তা কিন্তু ঠান্ডা করে খাবেন।
কিশমিশ আমাদের শরীরে যে সব উপকার করে
*খিদে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কিন্তু কিশমিশ ভীষণ ভাবে সাহায্য করে। আর তাই কম ক্যালোরির খাবার খাওয়া হয়। যত কম ক্যালোরির খাবার খাওয়া হবে ততই কিন্তু তাড়াতাড়ি ওজন কমবে। কিশমিশের মধ্যে থাকে লেপটিন আর শর্করা। যা কিন্তু মিষ্টির লোভ দমন করে।
*কিশমিশ আমাদের হজম ক্ষমতা ভাল করে। কারণ এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। কিশমিশ আমাদের অন্ত্রে প্রোবায়োটিকের কাজ করে। যা কিন্তু ওজন কমানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও কিশমিশ ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। ফলে আমাদের শরীরে ওজনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এবং ওবেসিটির হাত থেকে রক্ষা করে।
*ওজন ঝরাতে গেলে ডায়েটের পাশাপাশি ওয়ার্কআউটও করতে হবে। ডায়েট আর ওয়ার্কআউট একসঙ্গে হলে তবেই কিন্তু ওজন কমবে। কিশমিশের মধ্যে থাকে ফ্রুকটোজ, গ্লুকোজের মত প্রাকৃতিক শর্করা। যা ওয়ার্ক আউটের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি সরবরাহ করে শরীরে। আর তাই খালি পেটেই কিশমিশের জল খাওয়ার কথা বলা হয়।