রক্তকোষেই পাওয়া যায় শ্বেত রক্তকণিকা, যা আমাদের শরীরের জন্য অপরিহার্য। শ্বেত রক্তকণিকার কাজ হল রক্তচাপ বজায় রাখা, রক্তকে পরিষ্কার রাখা এবং যে কোনও সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করা। শরীরে রোগপ্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও ভূমিকা রয়েছে এই শ্বেতরক্তকণিকার। এই রক্তকণিকা রক্তে উপস্থিত যাবতীয় ময়লা দূর করে কোনও রকম সংক্রমণ হলে তা প্রতিরোধেও ভীষণ রকম সাহায্য করে। শরীরে শ্বেতরক্তকণিকার অভাবে সংক্রমণ বৃদ্ধি, ত্বর, ত্বকের সমস্যা, ব্যাকটেরিয়াজনিত রক্তে সংক্রমণ, ব্যথা, ফোলা ভাব, হাঁপানি, দুর্বলতা, ক্লান্তি দূর করতে ভূমিকা রয়েছে এই শ্বেতরক্তকণিকার। যগি কোনও কারণে মনে হয় যে শরীরে রক্তকণিকার সমস্যা কমেছে বা বারবার সংক্রমণজনিত কোনও সমস্যা হচ্ছে তাহলে দেরী না করে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যান। প্রয়োজনীয় রক্তপরীক্ষা করান এবং ওষুধ খাওয়া শুরু করুন। এর সঙ্গে নির্ধিষ্ট এই কয়েকটি খাবার খান। এই সব খাবারও শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে
এই তালিকায় প্রথমেই রয়েছে কমলা। নিয়মিত ভাবে কমলালেবু খেলে একাধিক সংক্রমণজনিত সমস্যা খুব সহজেই এড়িয়ে যাওয়া যায়। কমলার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। আর কমলার মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও। এই কমলা নিয়মিত খেলে রক্তে শ্বেতরক্তকণিকার সংখ্যা বাড়ে
আমের মধ্যেও ভিটামিন সি থাকে। যদি রক্তশর্করার পরিমাণ খুব বেশি না থাকে তাহলে আম খেতে পারেন। দৈনিক চাহিদার ৭৫ শতাংশ পূরণ হয় এই আম থেকে।
ভিটামিন সি এর বড় উৎস হল পেয়ারা। পেয়ারা রক্তে শ্বেতরক্তকণিকার পরিমাণ বাড়ায়। সেই সঙ্গে ব্লাডসুগারের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে।
আদার মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা শ্বেতরক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। অটোইমিউন রোগে আক্রান্তরাও নিয়মিত ভাবে আদা খান।
ব্রকোলির মধ্যে থাকে ভিটামিন সি, বি ৬, ভিটামিন এ। যা শ্বেত রক্তকণিকা বাড়াতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে নিয়মিত ব্রকোলি খেলে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ে। এর সঙ্গে নিয়মিত ভাবে পালং শাক, রসুন, কিশমিশ, টকদই, খেজুর এসব খান। এই সব খাবারে অনেকটা পরিমাণ শ্বেতরক্তকণিকা বাড়ে। সংক্রমণ দূর হয়।