ওজন কমানোর ডায়েটে ওটসের সঙ্গে জায়গা দখল করেছে কিনোয়া। গোটা শস্য খেলে সহজেই ওজন কমানো যায়। ব্রেকফাস্টে এক বাটি কিনোয়া খেলে দেহে কখনওই পুষ্টির ঘাটতি হবে না। বরং, পেয়ে যাবেন প্রোটিন। তার সঙ্গে পাবেন আয়রন, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, ভিটামিন ই ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এছাড়া এক বাটি কিনোয়া খেলে আপনি পেয়ে যাবেন ন’ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড। পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও থাকবে নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু অনেকেরই প্রশ্ন এই কিনোয়াকে কীভাবে সুস্বাদু বানানো যায়? কিনোয়া রান্নার সঠিক উপায় জানা দরকার। সেই টিপসই রইল আপনার জন্য।
রান্না করার আগে বাজার থেকে সঠিক কিনোয়া কেনা দরকার। সাদা, লাল ও কালো এই ৩ ধরনের কিনোয়া বাজারে সহজেই পাওয়া যায়। বাজারে সাদা কিনোয়াই সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায়। কিন্তু স্বাদের দিক দিয়ে এগিয়ে লাল ও কালো কিনোয়া। গুণগত মান যাচাই করে তবেই কিনোয়া কিনবেন।
কিনোয়া রান্না করার আগে ভাল করে ধুয়ে নেবেন। কিনোয়ার মধ্যে স্যাপোনিন নামের যৌগ রয়েছে। এটি কিনোয়ার মধ্যে তেতো স্বাদ তৈরি করে। তাই কিনোয়া কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখুন। তারপর সেটা জল ফেলে দিয়ে পুনরায় ধুয়ে নিন। ২-৩ বার জলে ধুয়ে নিয়ে তারপর কিনোয়া রান্নায় চাপাবেন।
কিনোয়া সেদ্ধ করার জন্য পরিমাণ মতো জল নেওয়া দরকার। যদি আপনি ১ কাপ কিনোয়া সেদ্ধ করেন, তাহলে ২ কাপ জল দেবেন। এরপর মাঝারি আঁচে রেখে কিনোয়া সেদ্ধ করে নিন। ১৫-২০ মিনিটের মধ্যে কিনোয়া সেদ্ধ হয়ে যাবে। কিনোয়া সম্পূর্ণরূপে জল শুষে নেওয়া পর্যন্ত সেদ্ধ করবেন। এরপর গ্যাস বন্ধ করে দিয়ে কিনোয়া ৫ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন।
সেদ্ধ করা কিনোয়া আপনি বিভিন্ন উপায়ে খেতে পারেন। গ্লুটেন ফ্রি হোল গ্রেন হওয়ায় কিনোয়ার স্যালাদ সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। সেদ্ধ করা কিনোয়ার সঙ্গে পছন্দমতো সবজি, ফল, বাদাম ও বীজ মিশিয়ে খাওয়া যায়। ওজন কমানোর জন্য এটি কিনোয়া খাওয়ার সবচেয়ে সহজ রেসিপি। আপনি যদি এই রেসিপি না জেনে থাকেন, তাহলে দেখে নিন এক নজরে।
কিনোয়ার স্যালাদ তৈরির রেসিপি
১ কাপ কিনোয়া সেদ্ধ করে নিন। এবার এতে ৩টি লেটুস পাতা, ১টা গাজর কুচি, ৩ চামচ অলিভ অয়েল, ১ মুঠো রোস্টেড আমন্ড, রোস্টেড আখরোট একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। এতে স্বাদমতো নুন, গুড়ের পাউডার মিশিয়ে দেবেন। ছড়িয়ে দিন অল্প লেবুর রস। এছাড়া দিতে পারেন অ্যাভোকাডোর কুচির, বেদানা ইত্যাদি। ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন এই কিনোয়া স্যালাদ।