
বাড়তি ওজনের সমস্যা কার নেই। অধিকাংশ বাড়িতেই জাঁকিয়ে বসেছে ওবেসিটির সমস্যা। সারাদিন বসে বসে কাজ করা, অতিরিক্ত ক্যালোর্র খাবার খাওয়ার ফলে ফ্যাট জমছে স্তরে স্তরে। এবার চাইলেই যে একদিনে সব ফ্যাট গলিয়ে ফেলা যাবে এরকমটাও একেবারেই নয়। ফ্যাট ঝরাতে যথেষ্ট কসরত করতে হয়। ওজন বাড়লে একাধিক শারীরিক সমস্যাও আসে। হাঁটুস ব্যথা, সুগার বেড়ে যাওয়া, ওবেসিটির পাশাপাশি উঠতে-বসতে কষ্ট, পেটের চারিদিকে বেশি মেদ জমে যাওয়া, নিতম্ব ভারী হয়ে যাওয়া অনেক রকম অসুবিধা হয়। তাই বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলা খুবই জরুরি। তবেই কিন্তু দীর্ঘদিন সুস্থ থাকতে পারবেন। শরীরে প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ফ্যাট থাকলে দেখতেও একেবারে ভাল লাগে না। আর তাই রইল বিশেষ ডায়েট টিপস।
দিনের শুরুতেই খান দু গ্লাস জল। গরম জল বা কোনও কিছু মিশিয়ে ডিটক্স ওয়াটার খেতে হবে এমন নয়। ঘরের সাধারণ তাপমাত্রায় থাকা জল দু গ্লাস খান। এতে শরীরের ডিটক্সিফিকেশন খুব ভাল হয়। এছাড়াও চাইলে একগ্লাস জলে লেবুর রস মিশিয়েও খেতে পারেন। ব্রেকফাস্টে খান চিয়া পুডিং। এক কাপ ঠান্ডা দুধের মধ্যে বড় ২ চামচ চিয়া সিড মিশিয়ে দিন। এবার এর মধ্যে আপেল, বেদানা, কলা, আম এসব স্লাউস করে মিশিয়ে খেতে পারেন। এছাড়াও বানিয়ে নিতে পারেন স্যান্ডউইচ।
শসা, রেড বেলপেপার, ইয়লো বেলপেপার, সুইট কর্ন সেদ্ধ, জল ঝরানো টকদই খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এর সঙ্গে স্বাদমতো নুন, অরিগ্যানো, চিলিফ্লেক্স মিশিয়ে নিন। এবার ব্রাউন ব্রেড টোস্ট করে নিয়ে একটা লেটুস পাতা ভিতরে দিয়ে ওর উপর এই মিশ্রণ খুব ভাল করে ছড়িয়ে দিন। ব্ল্যাক কফির সঙ্গে খেতে পারেন এই স্যান্ডউইচ। লাঞ্চে ম্যাঙ্গো স্মুদি বানিয়ে খেতে পারেন। তবে পাকা আম, জল ঝরানো টকদই একসঙ্গে ব্লেন্ড করে বানিয়ে নিতে পারেন। মিড মর্নিং স্ন্যাক্স হিসেবে এক গ্লাস লস্যি বা ছাস খেতে পারেন। এছাড়াও চলতে পারে একগ্লাস ডাবের জল। লাঞ্চের ১ ঘণ্টা পর এক গ্লাস জলে এক চামচ আপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খান।
গরমের দিনে খুব ভাল হল কার্ড রাইস। এই ভাত ওজন কমাতেও খুব ভাল সাহায্য করে। বাড়িতে বানানো ছোট এক কাপ ভাতের সঙ্গে এক কাপ জল ঝরানো টকদই মিশিয়ে নিন। একটা পাত্রে কারিপাতা, বাদাম, কালো সরষে আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে তা মিশিয়ে দিন ভাতের মধ্যে। এবার পেট ভরে খেয়ে নিন।
ছোলা দিয়ে এই কাবাবও ওজন ঝরানোর জন্য খুব ভাল। সিদ্ধ করা ছোলা, ভেজানো বাদাম, সোয়াবিন সিদ্ধ করে কুচি করে নিয়ে বেসন, নুন, হলুদ, লাল লঙ্কা গুঁড়ো, লঙ্কাকুচি, ধনেপাতা দিয়ে খুব ভাল করে মেখে নিতে হবে। এবার তা কাবাবের শেপে দিয়ে প্যানে সেঁকে নিলেই তৈরি কাবাব।