বঙ্গে এসে গিয়েছে বর্ষা (Monsoon) । ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে ভিজছে বাংলা। বৃষ্টি হবে, আর বাঙালি খিচুড়ি খাবে না, তা হয় নাকি? আকাশে একটু মেঘ জমলেই ডালে-চালে বসিয়ে দেয় বাঙালি। ইলিশ মাছ ভাজা বা বেগুনির সঙ্গে এক থালা খিচুড়ি নিমেষে উড়ে যায়।
খিচুড়ির আবার বিশেষ কিছু ধরন রয়েছে। কেউ পছন্দ করেন একেবারে পাতলা খিচুড়ি, কারও আবার মাখা-মাখা খিচুড়ি না হলে চলে না। তবে আরও এক ধরনের খিচুড়ি হয়, তা জানেন কি? তা হল ভুনা খিচুড়ি। দারুণ সুস্বাদু এই পদ। একবার খেলে ভুলে যাবেন অন্য সব খিচুড়ির স্বাদ। কীভাবে বানাবেন ভাবছেন তো? আপনার জন্য রইল সহজ রেসিপি…
আসুন প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক এই পদ বানাতে কী-কী লাগবে…
উপকরণ:
১ কাপ গোবিন্দভোগ চাল
১ কাপ ভাজা মুগের ডাল
গোটা গরম মশলা
গোটা জিরে
জিরে গুঁড়ো
হলুদ গুঁড়ো
কাঁচা লঙ্কা
তেজপাতা
শুকনো লঙ্কা
সাদা তেল
ঘি
কাজুবাদাম
কিশমিশ
স্বাদমতো নুন ও চিনি
অর্ধেক আদা
স্টেপ ১-
প্রথমেই চাল ভাল করে ধুয়ে জল ঝরিয়ে নিন। এবার কড়াই হালকা গরম করে নিয়ে তাতে মুগ ডাল টা ভেজে নিন। এবার ওই কড়াইতেই তেল ও ঘি একসঙ্গে গরম করে নিন। এবার তাতে গোটা গরম মশলা, শুকনো লঙ্কা ও জিরে ফোড়ন দিন।
স্টেপ ২-
ফোড়নটা ভালভাবে নেড়েচেড়ে নিয়ে তাতে জল ঝরিয়ে রাখা চাল ও ভাজা মুগ ডাল দিয়ে দিন। এবাত তার মধ্যে একে-একে আদা বাটা, হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিন।
স্টেপ ৩-
এর মধ্যে কাজুবাদাম, কিশমিশ দিয়ে আরও একটু ভাজুন। এবার এর মধ্যে পাঁচ কাপ মতো জল দিন। জল ফুটতে শুরু করলে কয়েকটি কাঁচালঙ্কা চিরে দিন। এবার কিছুক্ষণের জন্য ঢাকনা বন্ধ করে দিন। ঢাকনা খুলে স্বাদমতো চিনি ও নুন যোগ করুন। এবার তা আরও ১০ মিনিট মাঝারি আঁচে রেখে দিন।
স্টেপ ৪-
এবার কড়াইয়ের ঢাকনা খুলে গরম মশলার গুঁড়ো ও ঘি ছড়িয়ে ঢাকা দিয়ে রাখুন। এবং আঁচ নিভিয়ে দিন। ব্যাস তৈরি আপনার ভুনা খিচুড়ি। বর্ষার দুপুরে পরিবারের সকলের সঙ্গে জমিয়ে খান।