
রবিবার মানেই ভালমন্দ খাওয়ার দিন। আজ নয়, বহু বহু বছর ধরে চলে আসছে এই ট্র্যাডিশন। আজ থেকে বছর ২০ আগে মানুষ এতটাও স্বাস্থ্য সচেতন ছিল না। বাড়িতে বাড়িতে ডায়াবেটিস, হার্টের সমস্যা, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মত সমস্যা ছিল না। যে কারণে রামপাখির জন্য রবিবারের দরজা ছিল বন্ধ। এখন তার খোলা অবিরত দ্বার। কারণ চিকিৎসকের চক্ষুরাঙানির কারণেই রেড মিট এখন অধিকাংশ বাড়িতে পুরোপুরি বন্ধ। গরম ভাতের সঙ্গে পাঁঠার ঝোল, লেবু, লঙ্কা, ঝুরিআলুভাজা, ভেটকি পাতুরি এসবের স্বাদই আলাদা।
এত আয়েষ করে খাওয়া এখন কালেভদ্রে হয়। চিকেন এখন শুধু রবিবার নয় সপ্তাহের অন্য দিনেও খাওয়া হয় যে কারণে চিকেনের ওই একঘেঁষে ঝোল না বানিয়ে আজ বানিয়ে নিন চিকেন পাতুরি। খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই বানাতেও বিশেষ ঝক্কি নেই।
প্রথমেই মশলা তৈরি করে নিতে হবে। এক চামচ কালো সরষে এক চামচ সাদা সরষে আর সামান্য নুন দিয়ে শুকনো গ্রাইন্ড করে নিন। এরপর ওই জারে পাঁচটা রসুনের কোরা, ৫ টা কাঁচালঙ্কা আর হাফকাপ নারকেল কোরা দিয়ে মিহি পেস্ট করে নিন। এতে প্রয়োজনে অল্প জল দেবেন। এবার মিক্সিতে ছোট ছোট টুকরো দিয়ে ভাল করে গ্রাইন্ড করে নিন। এবার নারকেল-সরষে বাটা, কুচনো পেঁয়াজ, নারকেল কোরা, কাঁচা সরষের তেল, একটা গোটা ডিম, স্বাদমতো নুন-চিনি, হলুদ, কাশ্মীরী লঙ্কা গুঁড়ো দিয়ে খুব ভাল করে মেখে নিতে হবে।
এবার কলাপাতায় তেল মাখিয়ে দুদিকটা ভাল করে সেঁকে নিন। ওর মধ্যে চিকেনের মিশ্রণ, সামান্য নারকেল কোরা আর একটা লঙ্কা দিয়ে ভাল করে ওই পাতাটা মুড়ে নিতে হবে। একটা সুতো দিয়ে সবটা বেঁধে নিন। একটা গ্রিল প্যানে সরষের তেল দিয়ে পাতুরি গুলো দিয়ে দিন। গ্যাসের ফ্লেম মিডিয়ামে রেখে তিন-চার মিনিট পাতুরি পিছু রেখে সেঁকে নিন। গরম ভাতে এই পাতুরি খেতে দারুণ লাগে। যাঁরা ডায়েট করছেন তাঁরা দুটো পাতুরি খেতে পারেন ভাত ছাড়া।