উৎসবের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। গতকাল ছিল বিশ্বকর্মা পুজো। আর আজ দেশজুড়ে ধুমধাম করে পালন করা হচ্ছে গণেশ চতুর্থী। ভাদ্র ও মাঘমাসের শুক্লা চতুর্থীতে পালিত হয় গণেশ চতুর্থী। গণেশ চতুর্থীর সবচেয়ে মজাদার বিষয় হল, ভোগ। গণেশের প্রিয় মিষ্টি খেতে ভক্তরাও ভালবাসেন। আর গণেশের সবচেয়ে প্রিয় মিষ্টি হল মোদক। তাই গণেশ পুজোয় মোদক না থাকলে এ উৎসব অসম্পূর্ণ। এমনকী গণেশ পুজোয় ভগবানকে ২১টি মোদক নিবেদনের চল রয়েছে।
ঐতিহ্যবাহী মোদক তৈরিতে ব্যবহার হল নারকেল কোড়া, গুড়, ঘি, চালের গুঁড়ি। মূলত মিষ্টি গড়ে তা সেদ্ধ করে তৈরি করা হয় মোদক। তবে, আজকাল বিভিন্ন সুস্বাদু উপকরণ দিয়ে মোদক তৈরি করা হয়। আপনিও চাইলে সেই পথে হাঁটতে পারেন। মোদক তৈরির ঐতিহ্যবাহী রেসিপিতে ছোট্ট বদল আনতে পারেন। বানাতে পারেন চকোলেট ও ড্রাই ফ্রুটসের মোদক। দেখে নিন সহজ ২ রেসিপি।
চকোলেটের মোদক রেসিপি:
ফ্রাইং প্যানে ৪ টেবিল চামচ মাখন গরম করুন। মাখনের সঙ্গে ১ কাপ ডার্ক চকোলেটও গলিয়ে নিন। ডার্ক চকোলেটের সঙ্গে মাখন মিশে গেলে এতে ১/২ কাপ কনডেন্সড মিল্ক ও ১ টেবিল চামচ ভ্যানিলা এসেন্স মিশিয়ে দিন। মিনিট পাঁচেক নেড়েচেড়ে এতে ১ কাপ খোয়াক্ষীর, ২ টেবিল চামচ আখরোটের গুঁড়ো এবং ১/২ কাপ নারকেল কোড়া মিশিয়ে ভাল করে পাক বানিয়ে নিন। মোদকের মিশ্রণ তৈরি। এবার এটি ঠান্ডা করে মোদকের ছাঁচে ফেলে মোদক বানিয়ে নিন। তৈরি ডার্ক চকোলেটের মোদক।
ড্রাই ফ্রুটসের মোদক রেসিপি:
১০০ গ্রাম করে আমন্ড, কাজু, আখরোট, কিশমিশ ও নারকেল কোড়া নিয়ে নিন। শুকনো কড়াইতে আমন্ড, কাজু, আখরোট হালকা ভেজে রোস্ট করে নিন। বাদামগুলো মিক্সিতে দিয়ে গুঁড়ো করে নিন। মিহি করার প্রয়োজন নেই। পাশাপাশি শুকনো কড়াইতে নারকেল কোড়াও হালকা ভেজে নিন। এরপর ৩০ গ্রাম পোস্ত দানা ভেজে নিন। এরপর ওই কড়াইতে ১ টেবিল চামচ ঘি গরম করুন। এতে খেজুর ও কিশিমিশ দিয়ে ভাল করে নাড়তে থাকুন। মিনিট দশকের মধ্যেই এটি ঘন হয়ে যাবে। এতে বাদাম, নারকেল কোড়া ও পোস্তর দানা মিশিয়ে দিন। এরপর এতে ১ চামচ ঘি দিয়ে ভাল করে নেড়ে পাক বানিয়ে নিন। এরপর মোদকের আকৃতিতে গড়ে নিলেই তৈরি ড্রাই ফ্রুটসের মোদক।