কাল মায়ের বোধন। তবে পুজো শুরু হয়ে গিয়েছে আপামর জনসাধারণের। মহাপঞ্চমীর জনজোয়ারে ভেসে না গেলেও মধ্যরাতে লাইন বাড়ছে মণ্ডপের বাইরে। আজ হয়েই ছুটি পড়ছে অধিকাংশ অফিসে। একে শুক্রবার তার উপর পুজো। আর তাই সকলেই এখন ছুটির মেজাজে। বছরের এই একটা সময়েই সবার সঙ্গে দেখা হওয়ার একটা সুযোগ থাকে। তাই দিকে দিকে রিইউনিয়ন , আড্ডার প্ল্যান। পুজোর কটা দিন সকলের ছুটি। আর তাই এই কয়েকদিন কাজের চাপটাও বেশি। বন্ধুরা একসঙ্গে হওয়া মানেই গোল টেবিল বৈঠক মাস্ট।সপ্তাহের শেষ আর পুজো- সব মিলিয়ে রেস্তোরাঁতেও উপচে পড়ছে ভিড়। আর যদি বন্ধুদের সঙ্গে বাড়িতেই পার্টি করার পরিকল্পনা থাকে তাহলে আজ বাড়িতেই বানিয়ে নিন সবার প্রিয় গোল্ডেন ফ্রায়েড প্রন। এই রেসিপি মেনে বানালে রেস্তোরাও হার মেনে যাবে। তবে যাঁদের চিংড়িতে অ্যালার্জি রয়েছে তাঁদের এড়িয়ে যাওয়াই ভাল। কেচআপ আর পছন্দের পানীয়ের সঙ্গে জমে যাবে সন্ধ্যেটা।
বানাতে যা কিছু লাগল
১২ টি মাঝারি আকারের চিংড়ি
১/২ কাপ ময়দা
১ চামচ কর্নফ্লাওয়ার
২ চামচ ওয়েস্টার সস
নুন স্বাদ অনুযায়ী
গোলমরিচের গুঁড়ো- ১ চামচ
রসুন বাটা- ১ চামচ
নারকেল কোরা- হাফ কাপ
ডিম-২ টো
বেকিং পাউডার- হাফ চামচ
লেবুর রস- ১ চামচ
সোয়া সস- ১ চামচ
সাদাতেল- ভাজার জন্য
যেভাবে বানাবেন
চিংড়ি মাছের খোসা ছাড়িয়ে নিন। কিন্তু চিংড়ি মাছের লেজটা ছাড়াবেন না। মাথাটা বাদ দিয়ে চিংড়ি ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। এবার মাছ ম্যারিনেট করে নিন। চিংড়িটা পরিষ্কার করে টিস্যুপেপার দিয়ে মুছে নিন। এবার চিংড়িগুলোতে সোয়া সস, ওয়েস্টার সস, লেবুর রস, রসুন বাটা, গোলমরিচ গুঁড়ো এবং স্বাদমতো নুন মিশিয়ে নিন। চিংড়িগুলো ভাল করে ম্যারিনেট করে ২ ঘণ্টার জন্য ফ্রিজে রেখে দিন।
এবার অন্য একটি পাত্রে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, বেকিং পাউডার, ডিম, ৩ টেবিল চামচ তেল দিয়ে ব্যাটারটা তৈরি করে নিন। ব্যাটার তৈরি করে ২০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। একটা আলাদা থালায় শুকনো নারকেল কোরাটা রাখুন। কড়াইতে তেল গরম করুন। এক একটা চিংড়ি সাবধানে তুলে ময়দার ব্যাটারে ডুবিয়ে নিন। এরপর চিংড়ির উপর নারকেল কোরা মাখিয়ে নিন। এবার চিংড়ি ডুবো তেলে ভেজে নিন। ডবল ফ্রাই করতে ভুলবেন না। প্রথমে হালকা করে ভেজে নিন। এরপর ঠাণ্ডা হলে আরও একবার ডুবো তেলে ফ্রাই করে নিন। গ্লোডেন রঙ না ধরা পর্যন্ত ভাল করে চিংড়িগুলো ভেজে নেবেন। ব্যস তৈরি আপনার নারকেল কোরা দিয়ে গোল্ডেন ফ্রায়েড প্রন।