অষ্টমীর সন্ধিপুজো শেষ হলেই শুরু নবমী তিথি। আর তাই অনেকেই মনে করেন সন্ধিপুজো শেষ মানেই পুজো শেষ। আর তাই বলা হয়- ‘যেও না নবমী নিশি’। তবু কাল তো অ-স্থির, নিষ্ঠুর। সে চলে যায়। বয়ে যায়। নবমীনিশিও তাই ফুরোয়। বাঙালি শুভ বিজয়ায় মাতে। ষষ্ঠী থেকে অষ্টমী অনেক বাড়িতেই নিরামিষ রান্না হয়। নবমীর দিন তাই বাড়িতে মাংস হবেই। পুজো আসার আগে থেকেই বাঙালির যাবতীয় প্ল্যানের ব্লু প্রিন্ট রেডিই থাকে। কবে কোন দিন কোথায় আড্ডা হবে, কোনও দিন কী মেন্যু হবে সেও ঠিক করাই থাকে। এদিনের মেনুতে অনেক জায়গাতে চিকেন আর ইলিশ হলেও পাল্লা ভারী থাকে মাটনের। নবমীর দুপুরে অনেক বাড়িতেই পাঁঠার মেটে চচ্চড়ি রান্না করা হয়। কী ভাবে বাড়িতে বানাবেন আপনি? রইল রেসিপি।
পাঁঠার মেটে চচ্চড়ি বানাতে যা যা লাগছে
২৫০ গ্রাম খাসির মেটে
এক কাপ পেঁয়াজ কুচি
২টো তেজপাতা
১ চামচ রসুন বাটা
২ চামচ আদা বাটা
নুন স্বাদ অনুযায়ী
চিনি আধ চামচ
আধ কাপ টোম্যাটো কুচি
চার-পাঁচটি কাঁচা লঙ্কা চেরা
১ চামচ হলুদ বাটা
১ চামচ জিরে বাটা
আধ চামচ গরম মশলা বাটা
সর্ষের তেল পাঁচ চামচ
ঘি আধ চামচ
যে ভাবে বানাবেন
কড়াইতে পাঁচ চামচ সর্ষের তেল দিন। তেল গরম হয়ে গেলে চিনি ও তেজপাতা দিন। চিনি লাল হলে পেঁয়াজ কুচি দিন। পেঁয়াজ লালচে বাদামি হয়ে এলে রসুন ও আদা বাটা দিয়ে নাড়ুন। এরপর সামান্য নুন, হলুদ বাটা ও জিরে বাটা দেওয়ার পরে টোম্যাটো কুচি দিয়ে নাড়ুন। এবার মেটে ও কাঁচা লঙ্কা দিয়ে নেড়েচেড়ে ঢাকা দিন। মাঝে মধ্যে সামান্য গরম জল দিতে পারেন, যাতে পুড়ে না যায়। ঢিমে আঁচে ঢাকা দিয়ে রাখতে হবে। মেটে সেদ্ধ হলে এক চামচ ঘি ও গরম মশলা, লাল লঙ্কার গুঁড়ো দিয়ে নামিয়ে নিন। কুচনো ধনেপাতাও দিতে পারেন। গরম ভাত দিয়ে কিন্তু দারুণ খেতে লাগে এই মেটে চচ্চড়ি। আবার খেতে পারেন রাতের রুটির সঙ্গেও।