
যতই কোলেস্টেরলের চোখ রাঙানি থাক না কেন মটন খেতে কে না ভালবাসে! গরম ভাত আর গরম গরম মটনের ঝোল আলু হলে আর কিছুই লাগে না। একই রকম ভাবে মটন বিরিয়ানি খেতেও লাগে দারুণ। শীত মানেই পার্টি পিকনিকের মরশুম

এই সময় খাওয়া দাওয়া লেগেই থাকে। আর তাই সেখানে মটনও হয়ে থাকে। আবার অনেকেই এই সময় বাড়িতে পার্টির আয়োজন করেন। সেখানেও মেনুতে মটন থাকে। ভাল মটন তখনই রান্না হয় যখন তা সুসিদ্ধ হয়

মটন সুসিদ্ধ হলে তবেই খেতে ভাল লাগে। আর মটনের নিজস্ব একটা স্বাদ থাকে। যে কারণে অতিরিক্ত কোনও মশলার প্রয়োজন পড়ে না। মটন যদি ঠিকমতো সেদ্ধ না হয় তাহলে একেবারেই তা খাওয়া যায় না। যে কারণে সব বাড়িতেই মটন রান্না হয় প্রেশার কুকারে

মটন ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নিন। আলু ডুমো ডুমো করে কাটুন। পেঁয়াজ টুকরো করে রাখুন। আদা, রসুন কুচিয়ে রাখুন। তেজপাতা, শুকনো লঙ্কা নিন। নুন আর হলুদ দিয়ে আলু মেখে আগে ভেজে নিতে হবে

আলু তুলে রেখে ওই তেলের মধ্যে গোটা জিরে, শুকনো লঙ্কা, তেজপাতা ফোড়ন দিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। পেঁয়াজ কুচি দিয়ে নাড়তে থাকুন। পেঁয়াজ ভাল করে ভাজা হলে আদা-পেঁয়াজ-রসুন-কাঁচালঙ্কা বাটা দিতে হবে। প্রয়োজনমতো হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লাল লঙ্কার গুঁড়ো দিন

সব কিছু খুব ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। সব কিছু ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন। এবার এর মধ্যে সামান্য পরিমাণ গরম জল দিতে হবে। মটন দিয়ে খুব ভাল করে কষাতে থাকুন অল্প আঁচে। এবার এতে ভেজে রাখা আলু মিশিয়ে দিতে হবে, এভাবে কিছুক্ষণ ভাল করে নাড়াচাড়া করে নিন

এতে নুন আলু-মটনে ভাল করে মিশে যাবে। এরপর সামান্য জল দিয়ে ভাল করে নেড়েচেড়ে নিতে হবে। জল টেনে নিলে আবারও জল দিয়ে কষাতে থাকুন। এভাবে একটু একটু জল বার বার দিয়ে মাটন সেদ্ধ করে নিতে হবে। নেড়ে চিয়ে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন

জল টেনে নিলে আবারও জল দিন এতে। এবার ঢাকা দিয়ে ফুটতে দিন। যতটা পরিমাণ ঝোল চান সেই মাপ করে জল দিন। ৫-১০ মিনিট রাখলেই সেদ্ধ হয়ে যাবে। ৪০-৪৫ মিনিট এভাবে রান্না করলেই মটন সুসিদ্ধ হয়ে যাবে। ফুটে উঠলে দুটো কাঁচালঙ্কা, গরম মশলা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। প্রেশার কুকার ছাড়া কড়াইতে খুব সহজে এই পদ্ধতিতে বানিয়ে নিতে পারবেন মটন কারি। একবার ট্রাই করেই দেখুন