খাবার পরে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যেসটা বাঙালি মাত্রেই থাকে। তবে শুধু খাবার পরেই নয়, বাঙালিরা দিনের যে কোনও সময়েই মিষ্টি খেতে পছন্দ করে। মিষ্টি পছন্দ করেন না এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। রসগোল্লা, পান্তুয়া, সরভাজা, ক্ষীরকদম, যাই হোক না কেন, চোখের সামনে মিষ্টি দেখলে তা এড়িয়ে চলা কোনও বাঙালির পক্ষেই সম্ভব নয়।
এবার ধরুন সেই মিষ্টির নাম ‘চমচম’, তাহলে তো কথাই নেই। আজ আপনাদের জন্য একটু অন্যরকম চমচমের রেসিপি থাকছে। যা তৈরি করতেও বেশি সময় লাগবে না, আর খেতেও খুব সুস্বাদু হবে। আপনার যখনই বাড়িতে বসে মিষ্টি খাওয়ার ইচ্ছে হবে আপনি অনায়াসেই এই রেসিপি মেনে বানিয়ে ফেলতে পারবেন সুজির চমচম।
উপকরণ:
সুজি- ১/২ কাপ
দুধ- ১ কাপ
নারকেল কোরা- ১/৪ কাপ
চিনির গুঁড়ো- ১/২ কাপ
এলাচের গুঁড়ো- ১/৪ চা চামচ
পরিমাণ মতো ঘি
পদ্ধতি:
প্রথমে সুজি মিক্সিতে দিয়ে একদম মিহি করে নিন।
এরপর গ্যাসে কড়াই বসিয়ে গরম করে তাতে সব সুজি দিয়ে দিন। মাঝারি আঁচে সুজি একটু নেড়ে নিন। এক মিনিট মতো নাড়াচাড়া করলেই হবে। তবে ভেজে একেবারে লাল করে ফেলবেন না।
এবার তাতে দুধ ঢেলে দিন এবং এক চা চামচ ঘি দিন। কম আঁচে ভাল ভাবে মিশিয়ে নিন। ঘন ঘন নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পর দেখবেন সুজি পুরো দুধটাকে টেনে নিয়েছে এবং ড্রাই হয়ে এসেছে।
তারপর প্যানের চারপাশে ভাল করে সুজি ছড়িয়ে দিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন দু’মিনিটের জন্য। এই সময় গ্যাস বন্ধ করে দেবেন।
তারপর প্লেটে সুজি ঢেলে হালকা ঠান্ডা করে নিন। তারপর হাত দিয়ে ভাল করে মেখে নিন।
মাখার পর সুজি একেবারে ঠান্ডা হয়ে গেলে তাতে গুঁড়ো চিনি মেশান। নারকেল কোরা ও এলাচের গুঁড়ো দিয়ে আবার সেটাকে মিশিয়ে নিন। খুব ভাল করে তালটা মাখবেন।
এবার হাতে ঘি মেখে, তাল থেকে অল্প অল্প করে লেচি নিয়ে হাতের তালুর সাহায্যে গোল করুন। তারপর চমচমের মতো লম্বা করে গড়ে নিন।
একটা স্টিলের প্লেটে সামান্য তেল মাখিয়ে নিয়ে তাতে চমচমগুলো রাখুন।
এবার গ্যাসে কড়াই বসিয়ে তাতে জল দিয়ে ফোটাতে থাকুন। তার ওপর স্টিলের প্লেটটা রাখুন। ঢেকে দিন। আঁচ বাড়িয়ে রাখবেন। পাঁচ মিনিট মতো এই ব্যাপারটা হতে দিন।
তারপর নামিয়ে ঠান্ডা করে নিন। ঠান্ডা হলে চমচমগুলোতে নারকেল কোরা মাখিয়ে নিন। তৈরি সুজির চমচম। এবার পরিবেশন করুন।