ক্রমশ বাড়ছে তাপমাত্রার (Summer) পারদ। আর এই গরমের সঙ্গে লড়তে বলে সবার আগে প্রয়োজন সুস্থ থাকা। আপনার সুস্থতা (Healthy) কিন্তু একেবারেই আপনার হাতেই। তাই কীভাবে শরীরের যত্ন নেবেন সেই উপায় খুঁজে বের করতে হবে আপনাকেই। গরমে ভাল থাকতে হলে সবার আগে যেদিকে নজর দিতে হবে তা হল ডায়েট। কারণ এমনিতেই প্রচণ্ড তাপমাত্রার কারণে শরীর গরম হয়ে যাচ্ছে। এই সময় মানুষের হজস শক্তি সারাবছরের তুলনায় অনেকটাই নিম্নমুখী। এছাড়া গরমে পেট খারাপ, বমি ইত্যাদির সমস্যা তো লেগেই রয়েছে। এবার প্রশ্নটা হল এই সব কিছুর সঙ্গে লড়বেন কী করে?
গরমে শরীরের প্রয়োজন এমন কিছু যা আপনাকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ঠাণ্ডাও রাখবে। এক্ষেত্রে সবজির বিকল্প বলে আর কিছু হয় না। কিন্তু কী সবজি খাচ্ছেন সেটাও একটা বড় বিষয়। প্রথম পাতে তেতো খাওয়ার চল রয়েছে অনেক বাড়িতেই। এই অভ্যাস সত্যিই ভাল। কিন্তু বহু বাড়ির একটাই সমস্যা, ছেলেমেয়েরা পাতে তেতো দেখলেই নাক সিঁটকোয়। কোনও মতেই তেতো তাঁদের মুখে রচে না। তাই পাতে উচ্ছে, করোলা দেখলেই পালাই-পালাই করতে থাকে তারা। তবে জানেন কি এরও কিছু উপায় রয়েছে। যা মেনে চললেই আর জোর করে ছেলেমেয়েকে খাওয়াতে হবে না উচ্ছে-করোলা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উচ্ছে,করলা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও ডায়াবেটিস দূর করতেও সহায়তা করে এই তেতো সবজি। নিয়মিত করলা খেলে যেমন ওজন কমে, তেমনই হার্টও ভাল থাকে। শুধু তাই-ই নয়,শরীরে খাদ্যের ভারসাম্য বজায় রাখতেও সাহায্য করে করলা। এবার প্রশ্ন হল কীভাবে উচ্ছে-করলো খাওয়াবেন সন্তানকে?
গুঁড় যোগ করুন:
উচ্ছে, করলার তরকারিতে একটু গুঁড় ফেলে দিন। গুঁড়ের মিষ্টি স্বাদের কারণে কিছুটা হলেও কাটবে তেতো ভাব। এতেই আপনার বাচ্চা আর পাত ছেড়ে পালাবে না।
ভেজে নিন:
যেকোনও ভাজাভুজির প্রতিই সকলের বেস ঝোঁক থাকে। করলা, উচ্ছেকেও একটু মুচমুচে করে ভেজে দেখুন খেতে ভালই লাগে। আর ছেলেমেয়েরাও এটা খেতে ভালবাসবে।
বীজ বের করে নিন:
উচ্ছে, করলো রান্না করার সময় বীজ ভাল করে বের করে নিন। এতে তেতো অনেকটাই কম লাগবে। ফলে আর খেতে অসুবিধা হবে না।
নুন মাখিয়ে রাখুন:
করলা, উচ্ছে রান্নার আগে তা কেটে নুন মাখিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে তেতো ভাব কেটে যাবে।
জলে ভিজিয়ে রাখুন:
এছাড়া করলা, উচ্ছে রান্না করার আগে পরিষ্কার জলে ভিজিয়ে রাখুন। আগেকার দিনে মা-ঠাকুমারা এই পদ্ধতিই অবলম্বন করচেন। এতে আর অতটা তেতো স্বাদ থাকে না।