
দৈনন্দিন জীবনে ফ্রিজ ছাড়া এক মুহূর্ত চলে না। কিন্তু ফ্রিজের গুরুত্ব তখনই বোঝা যায়, যখন ফ্রিজ খারাপ হয়ে যায়। সমস্যা বাড়ে এই গরমে। ফ্রিজে ঠান্ডা জল পাওয়া যায় না। তার উপর খাবার-দাবার রাখার সমস্যা হয়। খাবার না রাখলেও সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় শাকসবজি সংরক্ষণের ক্ষেত্রে। এই গরমে প্রতিদিন বাজার যাওয়া সম্ভব নয়। আর আর্দ্রতার পরিমাণ এত বেশি যে সকালের কেনা সবজি, রাতেই শুকিয়ে যাচ্ছে। আর শুকনো সবজি রান্না করা যায় না। অন্যদিকে, আনাজপাতির যে পরিমাণ দাম, তা প্রতিদিন নষ্ট করা যায় না। এই গরমে ফ্রিজেও দীর্ঘদিন পর্যন্ত শাকসবজি রাখা যায় না। তাই এমন উপায় বেছে নিন, যাতে এই গরমেও আপনার শাকসবজি দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাজা রাখতে পারেন।
আপনি কী ধরনের সবজি কিনে আনছেন, তার উপর নির্ভর করছে সংরক্ষণের উপায়। ঘরের তাপমাত্রায় আলু, পেঁয়াজ, রসুন ইত্যাদি সংরক্ষণ করতে পারেন। এগুলো চটজলদি শুকিয়ে যাবে না বা পচন ধরবে না।
ধনে পাতা, পুদিনা পাতা এবং অন্যান্য শাক কিনে আনলে তার প্রথমে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। এরপর জল ঝরিয়ে শুকনো করে নিন। লাউ শাক, কুমড়ো শাক, পুঁই শাক ইত্যাদির ক্ষেত্রে শাক কেটে নিন। তারপর সেগুলো এয়ারটাইট কৌটোতে ভরে ফ্রিজে রেখে দিন। আর ধনে পাতা, পুদিনা পাতা শিকড় ছাড়াবেন না। এবার শিকড় সমেত সেগুলো অল্প জলে ডুবিয়ে রাখুন। এতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাজা থাকবে।
কাঁচা লঙ্কা সংরক্ষণ করলে বোঁটা ছাড়িয়ে নিন। তারপর সেগুলো জিপলগ ব্যাগ কিংবা এয়ারটাইট কৌটোতে ভরে রেখে দিন। একইভাবে, আপনি বরবটি, পটল, ঝিঙে, লেবুও এয়ারটাইট কৌটোতে ভরে রাখতে পারেন। তবে, অবশ্যই প্রতিটা সবজির জন্য আলাদা আলাদা কৌটো বা বক্স ব্যবহার করবেন।
কুমড়ো গোটা কেনা হয় না। কাটা কুমড়ো কখনও সরাসরি ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না। কুমড়ো কিউব আকারে কেটে নেবেন। তারপর সেগুলো জল ছড়িয়ে এয়ারটাইট কৌটোতে ভরে রাখতে পারেন।
আলু, পেঁয়াজের মতোই ফ্রিজে টমেটো ও ক্যাপসিকাম সংরক্ষণ করবেন না। টমেটো ও ক্যাপসিকাম রাখুন খোলা হাওয়ায়, ঘরের তাপমাত্রায়। ফিরে যান মা-ঠাকুমাদের যুগে। বেতের ঝুড়িতে রাখতে পারেন এই দুই উপাদান। অবশ্যই দুটো আলাদা ঝুড়িতে রাখবেন।
সজনে ডাঁটা ও লাউ সংরক্ষণ করুন কাগজের ব্যাগে। ফ্রিজে কাগজের ব্যাগে এই আনাজগুলো রাখলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত তাজা থাকে। যদি কাগজের ব্যাগ না থাকে, তাহলে খবরের কাগজে মুড়ে ফ্রিজে রেখে দিন।