
রান্না করার সময় এমন কিছু ছোট ছোট টিপস ফলো করতে পারলে রান্না করা কিন্তু অনেক বেশি সহজ হয়ে যায়, আমাদের নিত্যনৈমিতিক ঘটনায় আমরা দেখতে পাই মাছ ভাজার সময় অনেক সময় কড়াতে মাছ লেগে যায়, আজকে সেই সমস্যাটি সমাধান করা হবে।

শীতকাল আসছে মানে জমিয়ে মাছ, মাংস খাওয়ার পালা লুচি, পরোটা, পোলাও, ফ্রাইড রাইস, বিরিয়ানি সব মিলিয়ে একেবারে জমজমাট খাওয়া দাওয়া। খাওয়ার জন্য কিন্তু রান্নাটা ভালো হওয়া ভীষণ জরুরী। বিশেষ করে মাংস যদি ঠিকঠাক করে ভেতরে তেল, ঝাল মশলা নাই ঢুকলো তাহলে আর রান্না ভালো করবেন কি করে?

তাড়াহুড়োর মধ্যে অনেক সময় এরকম হয়ে যায়, কিন্তু বিশ্বাস করুন আপনি ম্যারিনেশনের যদি এই পাঁচটি টিপস মাথায় খুব ভালো করে ঢুকিয়ে নিতে পারি, তাহলে কোন রান্নাই আপনার কাছে একেবারে মুশকিল হবে না।

একেবারে জল দেবেন না – মাছ, মাংস যখন মেখে রাখবেন তখন খেয়াল করবেন। কোনো ভাবেই না যেন জল পড়ে, তাহলে কিন্তু মাথা খুব ভালো হবে না। এক সময় আমরা দই দিয়ে মাখিয়ে রাখি, দইতে প্রচুর পরিমাণে জল থাকি। সেদিক থেকে যখন ম্যারিনেট করে রাখবেন তখন জল ছড়ানো টক দই দেবেন।

ফ্রিজ থেকে বার করে ম্যারিনেশন নয় – ফ্রিজ থেকে বের করেই একেবারে মাখামাখি করতে শুরু করবেন না। ফ্রিজ থেকে মাছ-মাংস বের করে বেশ খানিকক্ষণ নরমাল টেম্পারেচারে রাখতে হবে তারপরে মাখবেন

অনেকেই চামচ দিয়ে ম্যারিনেট করেন কিন্তু এমনটা করলে মশলা পাতি ভেতরে পুরোটা ঢুকবে না। মাছ বা মাংস সামান্য ছুরি দিয়ে কেটে নিয়ে তার মধ্যে মশলাকে ভালো করে হাত দিয়ে মাখিয়ে ম্যারিনেশন করবেন।

মাছ বা দু’রকম মাংস কিন্তু মেখে রাখার সময় এক নয়, মাছ মোটামুটি এক ঘন্টা মেখে রাখলেই যথেষ্ট। চিকেন মেখে রাখতে হয় অন্তত দু’ঘণ্টা সময়, আর পাঁঠার মাংস ২৪ ঘন্টা মাখিয়ে রেখে ফ্রিজের মধ্যে রেখে দিন। তাহলে দেখবেন মাংস খুব সুন্দর সুসিদ্ধ হয়ে গেছে

মাংস মাখানো সময় কখনো ভুলেও নুন দেবেন না। তাহলে কিন্তু হতে পারে মহাবিপদ নুন দিলেই কিন্তু সেই নুন থেকে জল ছেড়ে যাবে, সরষের তেল হলুদ এছাড়া আর বাকি মশলা পেয়াজ, আদা, রসুন অবশ্যই দিতে পারেন।