বাঙালির কাছে ‘ভেগান’ বলে কিছু হয় না। আর যখন রবিবারের সকালের প্রসঙ্গ আসে তখন তার লুচি-তরকারিকে কেউ মাত দিতে পারে না। কিন্তু প্রতি রবিবার লুচি, পরোটা জলখাবারে খাওয়ার অর্থ হল কোলেস্টেরলকে ডেকে আনা। আবার রবিবারের দুপুরের ভূরিভোজে মাংস রয়েছে। তাই রবিবারের সকালটা হালকা খাবার খাওয়াই স্বাস্থ্যের পক্ষে ভাল। কিন্তু হালকা খাবার খেতে গিয়ে রোজের মতো ওটস খাওয়া সম্ভব নয়। অন্তত এই একটা দিন। মুখরোচক খাবারের জন্য আপনি বাড়িতে ধোকলা ট্রাই করতে পারেন। গুজরাটী খাবার পছন্দ না হলেও টক-মিষ্টি স্বাদের ধোকলা স্বাস্থ্যকর ও মুখরোচক আপনার রবিবারের জলখাবার হতে পারে। তাছাড়া ধোকলা রান্না করাও বেশ সহজ। খুব একটা ঝক্কি পোহাতে হবে না ছুটির দিনে রান্না করতে। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক ধোকলা তৈরির সহজ রেসিপি।
ধোকলা তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১/২ কাপ চালের গুঁড়ো, ১ কাপ বেসন, ২ চামচ সাদা তেল, ২ চা চামচ চিনি, ১ কাপ টক দই, সামান্য জল, ১ চিমটে হলুদ, স্বাদ অনুযায়ী নুন, ২ চা চামচ ইনো ফ্রুট সল্ট, ফোড়নের জন্য ১/২ চা চামচ সর্ষে বা রাই, ৩ টেবিল চামচ টেক, ৩টি শুকনো লঙ্কা এবং এক মুঠো কারিপাতা।
ধোকলা তৈরি করার সহজ পদ্ধতি:
চালের গুঁড়ো, বেসন, চিনি, টক দই, হলুদ, তেল, নুন ও পরিমাণমতো জল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। মিশ্রণটা ভাল করে ফেটিয়ে নিন। শেষে ইনো ফ্রুট সল্ট মিশিয়ে নিন। ইনো ফ্রুট সল্টের বদলে আপনি খাবার সোডাও মিশিয়ে নিতে পারেন। এবার একটি পাত্রে তেল মাখিয়ে নিন। এতে ধোকলা মিশ্রণটা ঢেলে দিন।
একটি সসপ্যানে জল গরম করুন। গোল ফুটে উঠলে তার উপর ধোকলার বাটিটা বসিয়ে ঢাকা দিয়ে দিন। অর্থাৎ ডবল বয়লার পদ্ধতি ধোকলা সেদ্ধ করে বসান। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট করে সেদ্ধ করলেই ধোকলা সেদ্ধ হয়ে যাবে। আপনি চাইলে প্রেশার কুকারে ধোকলার বাটি বসিয়েও সেদ্ধ করে নিতে পারেন।
ধোকলা তৈরি হয়ে গেলে নামিয়ে নিন। ধোকলা ঠান্ডা করুন। এবার চৌকো করে ধোকলা কেটে নিন। পরিবেশনের আগে ধোকলা গার্নিশ করতে হবে। ধোকলা গার্নিশের জন্য অন্য একটি ছোট সসপ্যানে তেল গরম করুন। এতে গোটা শুকনো লঙ্কা, রাই, কারিপাতা, সাদা তিল ফোড়ন দিন। ফোড়ন ভাজা হয়ে এটি ধোকলার উপর ছড়িয়ে দিন। ধোকলার উপর সামান্য জল ছড়া দেবেন। মিষ্টি চাটনির সঙ্গে পরিবেশন করুন ধোকলা।