ওজন যতই বাড়ুক মিল স্কিপ (Meal Skip) করা উচিত নয়। দু’টো খাবারের মাঝে যদি ৩ ঘণ্টা বা তার বেশি ব্যবধান থাকে, তাহলেও মেদ জমে। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর অল্প পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত। সকালের ব্রেকফাস্ট যেমন ভরপেট খাবেন, তেমনই লাঞ্চে রাখতে হবে প্রোটিনযুক্ত খাবার। বরং, লাঞ্চে এমন পদ রাখুন যা ওজন কমাতে সাহায্য করবে। যা আপনার শরীরে সব ধরনের পুষ্টির চাহিদা মেটাবে। যেহেতু অফিস বেরোনোর তাড়া থাকে, আর রোজ ডাল-ভাত বয়ে নিয়ে যেতে ভাল লাগে না, তাই সহজ ও পুষ্টিকর খাবার খুঁজে নিন। রোজ সকালে উঠে ডাল, ভাত এবং তরকারি বা মাছের ঝাল রাঁধতে অনেক সময় চলে যায়। তাই এমন রেসিপি ট্রাই করতে হবে, যা তৈরি করতেও কম সময় লাগে। এমনই একটি পদ হল মশলা ইডলি। যা তৈরি করতে মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।
দক্ষিণ ভারতের জনপ্রিয় পদ এই ইডলি। এই খাবার চাল, ডালের মিশ্রণকে ফার্মেন্টেড করে তৈরি করা হয়। সাধারণত সকালের জলখাবারে ইডলি খাওয়া হয়। তার সঙ্গে থাকে সাম্বার ও নারকেলের চাটনি। কিন্তু এই খাবারই যদি লাঞ্চে খেতে চান, তাহলে টুইস্ট আনতে হবে রেসিপিতে। সাম্বার ও নারকেলের চাটনি ছাড়া মশলা ইডলি বানিয়ে খেতে পারেন। এই খাবার ফাইবার ও প্রোটিনে পরিপূর্ণ, অন্ত্রের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে এবং এতে ক্যালোরি একদম নেই। লাঞ্চে টক দইয়ের সঙ্গে খেতে পারেন এই খাবার। কীভাবে এই পদ বানাবেন, রইল টিপস।
মশলা ইডলি তৈরি করার সহজ উপায়-
১ কাপ ইডলির চাল, ১ কাপ বিউলির ডাল এবং ১ চামচ মেথি দানা সারারাত ধরে জলে ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে এগুলো একসঙ্গে পেস্ট করে নিন। জল দিয়ে পাতলা করতে নেবেন। এই ইউলির ব্যাটার ৩-৪ দিনের জন্য একসঙ্গে বানিয়ে রেখে দিন। এবার ইডলির ব্যাটারে নুন ও অল্প জল মিশিয়ে দিন। এরপর ইডলির তৈরির পাত্রে মিশ্রণ ঢেলে সেদ্ধ করে নিন। অন্যদিকে, কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করুন। এর মধ্যে গোটা জিরে, গোটা সর্ষে, শুকনো লঙ্কা ও কারি পাতা ফোড়ন দিন। এবার এতে পেঁয়াজ কুচি, টমেটো কুচি, নুন, হলুদ ও সাম্বার মশলা দিয়ে ভাল করে নেড়ে নিন। অল্প জল দিয়ে ঘন করে নিন। মশলা তৈরি। ইডলি সেদ্ধ হয়ে গেলে চার টুকরো করে কেটে নিন। এবার ইডলির টুকরো মশলার সঙ্গে মিশিয়ে দিন। লেবুর রস ও ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে নিন। ব্যস তৈরি মশলা ইডলি। যদি ব্যাটার আগে থেকে তৈরি করা থাকে, তাহলে এই রেসিপিটি তৈরি করতে আপনার মাত্র ১৫ মিনিট সময় লাগবে।