
প্রাকৃতিক ভাবেই পুরুষ আর নারীর শারীরিক গঠন আলাদা। প্রত্যেকের নিজস্ব কিছু কাজ রয়েছে। মেয়েদের শরীর গর্ভধারণের জন্য যেমন প্রস্তুত তেমনই ছেলেদের প্রধান কাজ হল শুক্রাণু উৎপাদন। সময়মতো ডিম্বানু উৎপাদন না হলে, পিরিয়ডস না হলে মেয়েদের শরীরে একাধিক সমস্যা দেখা যায়। তেমনই ছেলেদের শরীরে যদি শুক্রাণু উৎপাদন না হয় বা কমে যায় তখন সেখান থেকেও আসে একাধিক শারীরিক সমস্যা। ইদানিং কালে মেয়েদের যেমন বিভিন্ন হরমোনজনিত সমস্যা বেড়েছে তেমনই ছেলেদের শরীরেও জাঁকিয়ে বসছে নানা সমস্যা। আর এর মধ্যে প্রধান হল শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া। লকডাউন পরবর্তী সময়ে সেই সমস্যা আরও অনেক বেশি জটিল হয়েছে। গর্ভধারণে যেমন মেয়েদের ভূমিকা রয়েছে তেমনই ছেলেদের ভূমিকাও গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে ফার্টিলিটির সমস্যা অনেক বেশি জাঁকিয়ে বসেছে ছেলেদের মধ্যে। আর তাই ছেলেদের মধ্যে বাড়ছে অ্যাজোস্পার্মিয়ার সমস্যা।
পুরুষদের মধ্যে যখন শুক্রাণু উৎপাদন একেবারেই বন্ধ হয়ে যায় তখন তাকে বলা হয় অ্যাজোস্পার্মিয়া। জন হপকিন্সের রিপোর্ট অনুসারে বিশ্বের মোট পুরুষদের মধ্যে ১১ শতাংশ পুরুষ ভুগছেন বন্ধ্যাত্বের সমস্যায়।
কী কারণে হয় অ্যাজোস্পার্মিয়া?
নানা কারণে অ্যাজোস্পার্মিয়া হতে পারে। মূলত লাইফস্টাইল এর জন্য দায়ী। আর অ্যাজোস্পার্মিয়া একবার হলে তা রোধ করা খুবই মুশকিলের হয়। আর তাই রোজকার ডায়েটে জোর দিতে হবে। কিছু খাবার জীবন থেকে একেবারে বাদ দিতে হবে। তবেই থাকা যাবে সুস্থ। যে সব খাবার খেলে আরও বেশি বাড়তে পারে এই সমস্যা-
রেড মিট- ছেলেদের মধ্যে রেড মিট খাওয়ার ঝোঁক বেশি থাকে। খারাপ জানা সত্বেও তাঁরা প্রায়দিনই খান মাটন। আর তাই সুস্থ থাকতে রেড মিট একেবারেই বাদ দিন। যে সব ছেলেরা মাটন বেশি খান তাঁদের স্পার্ম কাউন্টও কমে যায়। এসবের পরিবর্তে উদ্ভিজ প্রোটিন বেশি করে খেতে হবে।
চিনি- চিনি শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। আর চিনি দেওয়া পানীয় বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকেও হতে পারে সমস্যা। সুগার তো বাড়েই। সঙ্গে শুক্রাণু উৎপাদনও কমে যায়। আর তাই চিনি রয়েছে এমন পানীয় এড়িয়ে যাওয়াই ভাল।
ট্রান্স ফ্যাট– ট্রান্স ফ্যাট যেমন শরীকে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায় তেমনই শুক্রাণু ধ্বংস করে ফেলে। চিপস, পিৎজা, বার্গার, রোল, বিস্কুট, ফ্রোজেন যে কোনও খাবার, সসেজ এসব একেবারেই এড়িয়ে চলুন। মাইক্রোওয়েভে তৈরি পপকর্নও একেবারেই খাবেন না।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়া- পুষ্টিকর খাবার না খেলে সেখান থেকেও হতে পারে সমস্যা। কুমড়ো, এঁচোড়, সোয়াবিন, ভেন্ডি, লাউ, শসা এসব রাখুন রোজকারের খাবারের তালিকায়।