
উর্দ্ধমুখী তাপমাত্রার (Heat) পারদ। এই সময় দাঁড়িয়ে সুস্থ (Healthy) থাকতে প্রয়োজন এমন কিছু যা শরীরকে ঠাণ্ডা রাখবে। শুধু তাই-ই নয়, শরীর ঠাণ্ডা রাখার পাশাপাশি স্বস্তিও দেবে। সকালে উঠেই এক কাপ চায়ে চুমুক না দিলে অনেকেরই দিন শুরু হয় না। তবে এই গরমে সকাল-সকাল চা খাওয়ার অভ্য়াস ত্যাগ করাই ভাল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
চায়ের পরিবর্তে এমন কিছু খেতে হবে যা শরীরকে ডিটক্স হতে সাহায্য় করে। শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন (Toxin) বের করে দেওয়াকেই ডিটক্স বলা হয়। সকাল-সকাল এই ধরনের ডিটক্স পানীয় পান করলে সারাদিন শরীর তরতাজা থাকে। হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়।খুব সহজে বাড়িতেই বানিয়ে নেওয়া যায় এই বিশেষ পানীয় তা জানেন কি? জানুন কীভাবে বানাবেন।
উপকরণ:
একটা ছোটো আদার টুকরো
১ টেবিল চামচ জোয়ান
জাফরান
গোটা গোলমরিচ ১ চামচ
লবঙ্গ ৩-৪ টে
২ টো এলাচ
পদ্ধতি:
প্রথমেই জল গরম করে নিন। এবার ফুটন্ত জলে কুচনো আদা ও জোয়ান দিন। এবার তাতে একে-একে গোল মরিচ, লবঙ্গ, এলাচ দিন। একটু ফুটে গেলে তাতে জাফরান মেশান। মিশ্রণটি ভাল করে ফুটিয়ে নিন। ফুটে গেলে গ্যাস বন্ধ করে মিশ্রণটি ঠাণ্ডা করতে দিন। ঠাণ্ডা হয়ে গেলে ভাল করে ছেঁকে নিন। ব্যস তৈরি আপনার ডিটক্স পানীয়।
কখন খাবেন?
সকালে ঘুম থেকে উঠে চায়ের পরিবর্তে পান করুন এই পানীয়। উপকার পাবেন। সারাদিনের কোনও একটি সময়েও পান করা যায়। কিন্তু ভরা পেটে পান করার চেষ্টা করুন। প্রথমে অল্প পরিমাণে পান করে দেখুন। যদি কোনও রকম সমস্যা না হয় তাহলে এটিকে নিয়মিত ডায়েটে যোগ করুন। যেকোনও বয়সের মানুষই এই পানীয় পান করতে পারেন কোনও অসুবিধা নেই।
কী উপকার পাবেন?
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ভেষজ চায়ে উপস্থিত সব উপাদানই শরীরের জন্য ভীষণ উপকারি। এবং এতে উপস্থিত উপকরণের আলাদা আলাদা গুণ রয়েছে। জোয়ানে কারমিনেটিভ উপাদান রয়েছে যা সারাদিন গা গোলানো বা বমির সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। জাফরানে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট যা শরীর থেকে ক্ষতিকারক টক্সিন কে বের করে দিতে সাহায্য করে। গোল মরিচ হজ শক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এছাড়া লবঙ্গতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান যা শরীরের নান অস্বস্তি থেকে মুক্তি দেয়।