
দেশজুড়েই সাড়ম্বরে পালন করা হয় দীপাবলি। দীপাবলি, ধনতেরাস, লক্ষ্মীপুজো, গণেশপুজো- পাঁচদিনের টানা উৎসব চলতেই থাকে। দীপবলিতে উপহার আদান-প্রদানের একটা ব্যাপার থাকে। সেই সঙ্গে মিষ্টি মুখ তো থাকেই। যতই ডায়াবেটিস বা ডায়েট থাকুক না কেন এই কটাদিন সব ভুলে সকলেই মিষ্টি প্রেমে ডুব দেন। এক্ষেত্রে মিষ্টি না কিনে বাড়িতেই বানিয়ে নিতে পারেন। মাত্র কয়েকটি উপকরণে কম মিষ্টি ব্যবহার করেই বানিয়ে নিতে পারেন এই সব মিষ্টি। ধনতেরাস, কালীপুজোয় অনেক বাড়িতেই লক্ষ্মী-গণেশের পুজো হয়। আর তাই এমন পুজোয় নিজের বানানো মিষ্টি নিবেদন করতে পারেন পুজোয়। তিল, আটা আর সামান্য চিনি নিয়েই বানিয়ে নিতে পারেন বরফি। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন।
বরফি
একটি প্যানে ঘি গরম করে তিল রোস্ট করে নিন। বাদামী রং ধরলে নামিয়ে নিন। আবার একটু ঘি দিয়ে আটা ভেজে নিন। ড্রাই ফ্রুটসও ঘি- দিয়ে ভেজে নিন। জলে চিনি আর এলাচ গুঁড়ো দিয়ে সিরাপ বানিয়ে নিন। এই সিরাপে আটা, তিল মিশিয়ে ভাল করে পাক করে নিন। সুন্দর ডো তৈরি হয়ে গেলে একটি প্লেটে ঘি মাখিয়ে তা ঢেলে দিন। এবার পছন্দমতো শেপে তা কেটে নিন।
নারকেল নাড়ু
নাড়ু কুরিয়ে পাক করে নারকেল নাড়ু তো বানানো হয় তবে এই গোলাপী নাড়ু বানানো বেশ সহজ। এর জন্য নারকেল পাউডার হলেই চলবে। একটি প্যানে ঘি ভাল করে বুলিয়ে দিয়ে ওর মধ্যে নারকেল গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এরপর তা মিশলে কনডেন্স মিল্ক মিশিয়ে নিন। এবার ভাল করে মণ্ড পাকলে ওর মধ্যে সামান্য গোলাপ জল আর দু ড্রপ গোলাপি ফুড কালার মিশিয়ে দিন। সব কিছু ভাল করে মিশিয়ে নিলেই হয়ে যাবে নাড়ুর পাক। এবার নাড়ু বানিয়ে নিলেই চলবে।
পান্তুয়া
এককাপ গুঁড়ো দুধ, দু চামচ ময়দা, ১ চামচ সুজি, এক চিমটে বেকিং পাউডার আর ঘি দিয়ে ভাল করে মেখে নিতে হবে। এর মধ্যে প্রয়োজনমত দুধ দিয়ে মেখে নিন। আটা মাখার মত করে মাখতে হবে। এবার মণ্ড থেকে ছোট ছোট বল তৈরি করে নিন। ফুটন্ত তেলের মধ্যে তচা ভেজে নিলেই তৈরি পান্তুয়া। এবার চিনির সিরায় ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিলেই একদম তৈরি।