শীতে গাজরের হালুয়া খেতে ভালবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। ভারতীয় মিষ্টির এমনিও জুড়ি মেলা ভার। আর সেখানে এই মরশুমে গাজরের হালুয়া প্রায় প্রতিটা বাড়িতেই রন্ধিত হয়। ঠান্ডার দিনে এমন ডেজার্ট পাতে পড়লে মন ভাল হয়ে যায়। গাজরের হালুয়া যে শুধু সুস্বাদু, তা নয়। স্বাদের পাশাপাশি স্বাস্থ্যও প্রদান করে গাজরের হালুয়া। অবাক হচ্ছেন? হ্যাঁ, মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়েও স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা যায়। আর সেখানে যদি গাজরের হালুয়া হয়, তাহলে উপকার মিলবে গুণে গুণে।
গাজরে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন রয়েছে, যা ভিটামিন এ-এর উৎস। পাশাপাশি এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। চোখ, ত্বক ও সামগ্রিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেয় গাজর। শীতে সংক্রমণের হাত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে গাজর ভীষণ উপকারী। এছাড়া, গাজরের হালুয়া তৈরিতে ঘি ব্যবহার করা হয়, যা অন্ত্রের স্বাস্থ্য ও শরীরে ব্যথা-যন্ত্রণা কমাতে সাহায্য করে। আর হালুয়াতে দুধ ব্যবহার করা হয়, যা শরীরে ক্যালশিয়াম সহ নানা পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে। গাজরের হালুয়া খেয়ে আপনি ওজনও কমিয়ে ফেলতে পারেন। কারণ এতে রয়েছে ফাইবার। এমনকী কমিয়ে ফেলতে পারেন ক্যানসারের ঝুঁকি।
কিন্তু আপনি যদি গাজরের হালুয়াতে চিনি ব্যবহার করেন, তাহলে এই সব উপকারিতা জলে যাবে। চিনি শরীরের জন্য বিষ। এবার আপনার মনে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, চিনি ছাড়া গাজরের হালুয়া বানাবেন কীভাবে। এরও স্বাস্থ্যকর সমাধান রয়েছে আমাদের কাছে। চিনি বাদ দিয়ে গাজরের হালুয়া তৈরিতে গুড় ব্যবহার করুন। গুড় দিয়ে কীভাবে গাজরের হালুয়া রাঁধবেন, দেখে নিন…
গাজরের হালুয়া তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ:
৫০০ গ্রাম গাজর, ১/২ লিটার দুধ, ৬০ গ্রাম ঘি, ১/২ চা চামচ দারুচিনির গুঁড়ো, ২টো ছোট এলাচ, ১০০ গ্রাম গুড়, ১৫০ গ্রাম খোয়া, এক মুঠো কাজু ও কিশমিশ।
গাজরের হালুয়া তৈরি করার সহজ পদ্ধতি:
গাজরগুলো ধুয়ে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এবার কুচি কুচি করে কাটতে পারেন। তবে গ্রেট করলে গাজরের হালুয়া সবচেয়ে ভাল হয়। গাজর কুচিয়ে ফেলার পর জল ছড়িয়ে নেবেন। এবার একটি সসপ্যানে দুধ গরম বসান। দুধে এলাচ থেঁতো করে ফেলে দিন। দুধ জ্বাল দেওয়া হলে এতে কুচিয়ে রাখা গাজরটা দিয়ে দিন। খেয়াল রাখুন যাতে দুধ অতিরিক্ত ঘন না হয়ে যায়। এবার এতে গুড় মিশিয়ে দিন।
ছোট একটি কড়াইতে ঘি গরম করুন। এতে দারচিনি গুঁড়ো দিয়ে দিন। এরপর এতে খোয়া কুচিয়ে দিয়ে দিন। এবার এটা দুধ ও গাজরের মিশ্রণে দিয়ে দিন। ঘন না হওয়া অবধি ক্রমাগত নাড়তে থাকুন। ঘন হয়ে এলে নামিয়ে নিন। উপর দিয়ে কাজু, কিশমিশ, আমন্ড ছড়িয়ে দিন।