যখনই ব্রেকফাস্টের প্রসঙ্গ আসে, কেউ বেছে নেন রুটি তরকারি। আবার কেউ খেতে ভালবাসেন ব্রাউন ব্রেড। কিন্তু যখন প্রসঙ্গ সুস্থ থাকার কিংবা ওজন ঝরানোর হয় তখন আপনি কাকে বেশি প্রাধান্য দেবেন? ব্রেকফাস্টে এমন খাবার খাওয়া দরকার আমাদের শরীরকে পুষ্টির জোগান দেবে। এমন খাবারকে প্রাতরাশে রাখা জরুরি যা প্রোটিনের জোগান দেবে যাতে আমরা সারাদিন তরতাজা থাকি এবং দৈনন্দিন কাজ করতে সক্ষম হই। কিন্তু এর জন্য ব্রাউন ব্রেড উপকারী নাকি হাতে গড়া আটার রুটি? চলুন জেনে নেওয়া যাক…
এমন অনেকেই রয়েছেন যাঁরা সকালের জলখাবারে পাউরুটি খান। সাদা পাউরুটি কিন্তু একেবারেই স্বাদের পক্ষে ভাল নয়। তার কারণ হল এর মধ্যে থাকা ময়দা। সেই দিক দিয়ে বিচার করলে এই ব্রাউন ব্রেড আটা দিয়ে তৈরি করা হয়। পাশাপাশি এটি হোয়াইট ব্রেড বা সাদা পাউরুটির তুলনায় ভাল। কিন্তু যখন এই ‘স্বাস্থ্যকর’ ব্রাউন ব্রেডকে হাতে তৈরি আটার রুটির সঙ্গে তুলনা করা হয় তখন কোনটিকে বেছে নেওয়া উচিত।
হাতে তৈরি আটার রুটির মধ্যে ফাইবারের পরিমাণ অনেক বেশি। সকালবেলা যদি আপনি দু-তিনটে রুটি আর তরকারি খান, এতে আপনার পেট ভরে যাবে। পাশাপাশি শরীরে পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। যাঁদের কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাঁদের জন্য আটার তৈরি রুটি সত্যি উপকারী। এই দিকে পিছিয়ে রয়েছে ব্রাউন ব্রেড।
ব্রাউন ব্রেডে সামান্য পরিমাণ হলেও ময়দা রয়েছে। তাছাড়া এগুলো এক-দু’দিন আগে তৈরি করা হয়। অর্থাৎ আমরা যখন ব্রাউন ব্রেড কিনে খাচ্ছি সেটা অন্তত তিনদিন বাসি হয়ে যায়। পাশাপাশি পাউরুটি তৈরিতে ফার্মান্টেশন, প্রসেসিং এবং প্রিজার্ভেশনের প্রক্রিয়া থাকে। এগুলো ছাড়া কখনওই পাউরুটি তৈরি করা সম্ভব নয়। এখানেই পুষ্টিগুণ হারায় ব্রাউন ব্রেড।
অনেক ব্র্যান্ডের ব্রাউন ব্রেড গ্লুটেন যুক্ত হয়, ইস্ট থাকে। এগুলো সব সময় যে শরীরের পক্ষে ভাল তা নয়। শরীর সুস্থ রাখার জন্য গ্লুটেন-ফ্রি খাবারকেই বেছে নেওয়া দরকার। অন্যদিকে, আটার তৈরি রুটি যেমন টাটকা হয় তেমনই এর পুষ্টিগুণ অনেক। ফাইবারের পাশাপাশি এতে সঠিক পরিমাণে কার্বস থাকে। এটি শরীরের জন্য অনেক বেশি স্বাস্থ্যকর।
সুস্থ থাকার জন্য সকালের জলখাবারে ব্রাউন ব্রেডকে ছেড়ে হাতে গড়া দুটো আটার রুটি খান। সঙ্গে একবাটি সবজির তরকারি রাখতে পারেন। এতে পেট ভরবে এবং শরীরে শক্তি জোগান মিলবে।