
বাঙালির অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালী। বঙ্গ জুড়ে সারাবছর নিষ্ঠাভরে হয় মা কালীর আরাধনা। কার্তিকের এই অমাবস্যা বাঙালিদের কাছে তাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ছোট-বড় সব মন্দিরেই হবে কালীপুজো। সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। এদিন অবশ্য কালীঘাটে হয় লক্ষ্মীপুজো। এবার বাংলার বাড়িতে এদিন ঘটা করে হয় দীপান্বিতা লক্ষ্মীর আরাধনা। অনেকে আবার বিশেষ এই দিনে লক্ষ্মী-গণেশের পুজোও করেন। সব মিলিয়ে এই দিনটি বাঙালির কাছে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণত সারাদিন উপবাসে থেকেই পুজোর রীতি রয়েছে। এর অবশ্য বিজ্ঞানসম্মত একটা দিক রয়েছে। উপবাসে থাকলে তবেই পুজোর আয়োজন বাকি কাজ করা যায়। পেট ভরে খাবার খেয়ে নিলে সেই কাজ করার শক্তি থাকে না। এছাড়া পুজো মানে মনে শান্তি, একাগ্রতাও খুব গুরুত্বপূর্ণ।
পুজোর দিনে ভাত খাওয়া হয় না। পুজো শেষে যে খিচুড়ি বা পোলাও প্রসাদে দেওয়া হয় তাই সকল ভক্ত গ্রহণ করেন। এছাড়াও নিরামিষ বলে বাড়িতে লুচি, খিচুড়ি এসবও হয়। উপবাসের দিনে বাড়িতে বানিয়ে নিতে পারেন শ্যামা চালের খিচুড়ি। এই খিচুড়ি যেমন খেতে ভাল লাগে তেমনই তা পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। এদিন অনেকে সারাদিন জলটুকুও খান না। তবে উপোসের এমন কোনও ধরাবাঁধা নিয়ম নেই। যেভাবে পারবেন সেভাবেই করুন। এই শ্যামা চালের খিচুড়ি খেতে খুবই ভাল হয়। দেখে নিন তা কী ভাবে বানাবেন।
শ্যামা চাল এককাপ নিয়ে ভাল করে আগে শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিতে হবে। এবার তা ভিজিয়ে রাখুন জলে। মুগ ডালও শুকনো কড়াইতে নেড়ে নিয়ে গরম জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। ফুলকপি আর আলু বড় বড় করে কেটে নিন। কড়াইতে তেল দিয়ে প্রথমে আলু ভেজে তুলে রাখুন। একে একে ফুলকপি আর গাজর ভেজে নিন। এবার ওই সরষের তেলে গোটা জিরে, হিং আর শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে প্রথমে জল ঝরিয়ে রাখা ডাল দিন। এবার চাল দিয়ে কষিয়ে স্বাদমতো নুন, হলুদ, জিরে গুঁড়ো আর শুকনো লঙ্কা গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। ভেজে রাখা সবজি গুলো দিয়ে জল মিশিয়ে দিন। ফুটে এলে স্বাদমতো চিনি ছড়িয়ে, ভাজা মশলার গুঁড়ো আর কাঁচা লঙ্কা চেরা ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। চালে ভেজে রাখা বাদাম আর নারকেলের কুচিও দিতে পারেন।