
অন্নপ্রাশনের পর একটু একটু করে ভাত খাওয়া শেখে খুদে। এক বছর পূর্ণ হলেই খাদ্যতালিকায় পুরোদমে ঢুকে পড়ে ভাত। সেই ভাতের সঙ্গে কখনও ডালের জল আবার কখনও শিঙি মাছের ঝোল থাকে। এই শিঙি মাছের ঝোল বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য দারুণ উপকারী। এই মাছের মধ্যে থাকা পুষ্টি বাচ্চার বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আর এই মাছের ঝোলে মরশুমি সবজি দিয়ে দিলে এর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ দু’টোই বেড়ে যায়। কিন্তু শিঙি মাছের ঝোল শুধু যে বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী, তা নয়। বড়রাও খেতে পারে এই মাছের ঝোল। পেট খারাপ, জ্বর হলেও মুখের রুচি ফিরিয়ে দিতে পারে শিঙি মাছের ঝোল। পাশাপাশি অসুস্থতার মধ্যে শিঙি মাছের ঝোল খেলে দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠবেন। আপনার জন্য রইল শিঙি মাছের ঝোলের রেসিপি।
শিঙি মাছের ঝোলের রেসিপি-
উপকরণ: ৪-৫টি শিঙি মাছ, ২০০ গ্রাম বরবটি, ১টা আলু, ২০০ গ্রাম কাঁচা পেঁপে, ২০০ গ্রাম লাউ, ১ চা চামচ আদা বাটা, ১/২ চা চামচ কালো জিরে, ১ চা চামচ কাঁচা লঙ্কা বাটা, ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়ো, ২ টেবিল চামচ ধনে পাতা কুচি, স্বাদ অনুযায়ী নুন এবং পরিমাণ মতো সর্ষের তেল।
পদ্ধতি: সাধারণত বাজারে জ্যান্ত শিঙি মাছ পাওয়া যায়। সেগুলো বাড়িতে এনে নুন দিয়ে ভাল করে পরিষ্কার করে নিন। এবার মাছে নুন ও হলুদ মাখিয়ে রাখুন। এই সময় সমস্ত সবজিগুলো মাঝারি আকারে ডুমো ডুমো করে কেটে নিন।
কড়াইতে সর্ষের তেল গরম করুন। এতে শিঙি মাছগুলো ভেজে তুলে নিন। এবার ওই তেলের মধ্যেই কালো জিরে ও কাঁচা লঙ্কা ফোড়ন দিন। এবার সমস্ত সবজিগুলো ভাল করে ভেজে নিন। আলু, বরবটি, লাউ, পেঁপে ভাজার সময় এতে নুন ও হলুদ গুঁড়ো দিয়ে দেবেন। সবজিগুলো ভাজা হয়ে গেলে এবার এতে আদা বাটা, কাঁচা লঙ্কা বাটা, ধনে গুঁড়ো ও জিরে গুঁড়ো দিয়ে দিন। এবার মশলাটা ভাল করে কষিয়ে নিন। পরিমাণ মতো জল দিয়ে দিন। এবার এর মধ্যে ভেজে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিন। এরপর মিনিট পনেরো ভাল করে মিশ্রণটি রান্না করে নিন। মাছ ও সবজিগুলো সেদ্ধ হয়ে গেলে গ্যাস বন্ধ করে দিন। উপর দিয়ে ধনে পাতা কুচি ছড়িয়ে নামিয়ে নিন শিঙি মাছের ঝোল। ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করুন এই শিঙি মাছের ঝোল।