
চিকেন বা ডিমের কষা তো সকলেই খান। হামেশাই বাড়িতে রান্না হয়। অনেকের বাড়িতে প্রতি রবিবার নিয়ম করে হয় মাটন কষাও। কষা আর কারির মধ্যে কিন্তু ফারাক রয়েছে। কারির মধ্যে তেল-মশলা থাকলেও লাল ভাব কম ছথাকে। কিন্তু কষা সব সময় রগরগে হয়। আর এই লাল ঝোল দিয়ে গরম ভাতে মেখে খেতে দারুণ লাগে। বিশেষত তা যদি হয় চিকেন। তবে যাঁরা নিরামিষাশী বা ভেগান তাঁরা চিকেনের স্বাদ থেকে বঞ্ছিত থাকেন। তবে নিরামিষ এই চিকেন কিন্তু সকলেই চেখে দেখতে পারেন। শুনেই অবাক হচ্ছেন? এই তালিকায় রয়েছে মাশরুম। মাশরুমের উপকারিতা অনেকখানি। তবে অধিকাংশ মানুষই এই খাবারটি সম্বন্ধে বিশেষ জানেন না।
মাশরুম খেতে যেমন সুস্বাদু তেমনই মাশরুমের মধ্যে রয়েছে একাধিক পুষ্টিগুণ। স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন রয়েছে এই সুপারফুডের। ডিমেনশিয়া ও অ্যালঝাইমার্সের ঝুঁকি কমায় মাশরুম। হার্টের রোগীদের জন্যেও খুব ভাল হল মাশরুম। মাশরুমে রয়েছে পটাসিয়াম, ফাইবার ও এনজাইম। যার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। এছাড়াও মাশরুমের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন ডি। যা ক্যালশিয়ামের চাহিদা মেটায়। হাড় শক্ত রাখতেও সাহায্য করে মাশরুম। দেখে নিন মাশরুম কষার রেসিপি।
যা কিছু লাগছে
মাশরুম
পেঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
টমেটো বাটা
টকদই
ধনে গুঁড়ো
জিরে গুঁড়ো
গরম মশলা গুঁড়ো
লঙ্কা গুঁড়ো
ঘি
গোটা গরম মশলা
অরিগ্যানো
কসৌরি মেথি
যেভাবে বানাবেন
মাশরুম ভাল ভাবে ধুয়ে জল ঝরিয়ে রাখুন। এবাক একটা বাটিতে জল বসিয়ে তাতে এক চিমটে নুন দিন। এবার ওর মধ্যে মাশরুম ফেলে দিন। ৩ মিনিট ফুটিয়ে তুলে নিন। কড়াইতে সাদা তেল দিয়ে এলাচ, দারুচিনি দিয়ে পেঁয়াজ বাটা দিন। এবার আদা, রসুন, টমেটো বাটা দিয়ে কষিয়ে নিতে হবে। তেল ছাড়লে শুকনো লঙ্কা, হলুদ গুঁড়ো, ঘনে, জিরে, ঘি আর গরম মশলা বাটা দিয়ে ভালভাবে কফিয়ে নিন। এবার এর মধ্যে ফেটিয়ে রাখা দই দিয়ে নাড়তে থাকুন। নইলে ছানা কেটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। নেড়ে চেড়ে মাশরুম মিশিয়ে দিন। চিনি আর সামান্য জল দিয়ে কষাতে থাকুন। এবার এর মধ্যে কসৌরি মেথি আর অরিগ্যানো ছড়িয়ে দিতে হবে। বাকি ঘি আর গরম মশলা ছড়িয়ে ১০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রাখুন। এই সময় গ্যা লে ফ্লেমে রাখবেন। ব্যাস তৈরি মাশরুমের কষা।