Viral Video: চিকেনের পুর দেওয়া মোমো তো অনেক খেলেন, এবার চেখে দেখুন কুলহার মোমো!
তবে এখন আর শুধু চিকেন মোমো, ভেজমোমোতে গিয়ে আটতে থাকেনি। চাইনিজ পদে এসেছে ভারতীয়ের ছোঁয়া। কারণ ফুটপাত থেকে বড় বড় রেস্তোরাঁয় ফিউশন ডাম্পলিং তৈরির একটি ঢেউ এসেছে। তন্দুরি মোমোস, মাঞ্চুরিয়ান মোমোস, বাটার চিকেন মোমোস-সহ আরও অনেক কিছু।
নেপালি খাবার হলেও শহর কলকাতায় পাড়ার মোড়ে মোড়ে মোমোর দোকান। বাঙালি যে এতটা মোমোর প্রেমে পড়ে যাবে, তা হয়ত নেপালের মানুষদেরও ধারণা ছিল না। আগে চাইনিজ রেস্তোরাঁতেই মোমো খাওয়ার চল ছিল। কিন্তু এখন ফুটপাতের দোকান ছাড়িয়ে বাঙালির অন্দরেও ঢুকে পড়েছে। লকডাউনে মোমো তৈরির রেসিপি দেখে তার স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করেছেন বহুজন। মোমোর প্রতি প্রীতি শুধু বাঙালিদেরই নয়, আপামর ভারতবাসীর কাছে একটি অভ্যাস হয়ে গিয়েছে। লাল টকটকে চাটনি ও মেয়োনিজের পাশে গরম ধোঁয়া ওঠা স্টিম চিকেন মোমোর একটি প্লেট হাতে উঠলে বোঝার আগেই উধাও হয়ে যায়। ভোজনরসিক হলে কয়েক মিনিটের মধ্যে শেষ করে ফেলবেন তা বলাই বাহুল্য।
তবে এখন আর শুধু চিকেন মোমো, ভেজমোমোতে গিয়ে আটতে থাকেনি। বিদেশি পদে এসেছে ভারতীয়ের ছোঁয়া। কারণ ফুটপাত থেকে বড় বড় রেস্তোরাঁয় ফিউশন ডাম্পলিং তৈরির একটি ঢেউ এসেছে। তন্দুরি মোমোস, মাঞ্চুরিয়ান মোমোস, বাটার চিকেন মোমোস-সহ আরও অনেক কিছু। বড় বড় রেস্তোরাঁর বাইরে ফুটপাতে মোমো বিক্রেতারা ক্রেতা টানতে নানান বিচিত্র সব রেসিপি তৈরি করেন। কুলহারওয়ালি মোমো। বিশ্বাস করছেন না তো! কিন্তু এমন মোমোও এই দেশে তৈরি হয়। শুধু তাই নয়, চোখে না দেখলে বিশ্বাস করবেন না, সেই স্পেশাল মোমোসের চেখে দেখতে ভিড় জমিয়েছেন উত্সুকরা।
View this post on Instagram
ভাইরাল ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওই মোমো বিক্রেতা ক্যাপসিকাম, কর্ন, পেঁয়াজ, বিভিন্ন সস ও সিজনিং ব্যবহার করে একটি মশলা তৈরি করছেন। তারপর ওই মিশ্রণটিতে মোমগুলি যোগ করে সেগুলি ভাল করে মিশিয়ে নিচ্ছেন। এরপর মশলা-মাখানো কুলহারে রেখে চিজ দিয়ে সাজিয়ে রাখছেন। এরপর আভেনের মধ্যে বেক করে সেগুলি পরিবেশন করছেন। এই মজাদার ভিডিয়োটি আপলোড করেছেন ইন্সটাগ্রামের ফুডব্লগার @paidaishi_foodie। এখনও পর্যন্ত ওই ভিডিয়োটিতে ১.৬ মিলিয়নের মতো ভিউস হয়েছে। ৮৭ হাজার লাইক পড়েছে। এই অসাধারণ মোমো যদি চেখে দেখতে হয়, তাহলে দিল্লির কৃষ্ণনগরের র্যাবিট লি ক্যাফেতে অবশ্যই যেতে হবে।
তবে এখানে আবার এই ভিডিয়ো দেখে বেঁকে বসেছেন বহু নেটিজে়নরা। এক মোমোভক্তের কথায়, এটা একটি বোকা বোকা ধারণা। সব জিনিসই তো কুলহারে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে! তবে এই দেশি কায়দায় মোমো সম্পর্কে অনেকে উত্সাহ দেখিয়েছেন। কিন্তু তার সংখ্যা অনেকটাই তুলনামূলক কম। তাই নেটিজ়েনদের মতো আপনার মতও কি এক! তাহলে তো এখানে আপনাকে মন্তব্য প্রকাশ করতেই হবে।
আরও পড়ুন : Recipe: শীতে ইমিউনিটি বৃদ্ধিতে প্রতিদিন রাতে দরকার গোল্ডেন মিল্ক! রইল তার রেসিপি