বাইরে ঘ্যানঘ্যানে বৃষ্টি, চিটে গরম-ঘাম কোনও কিছুরই অভাব নেই। যতই বৃষ্টি হোক না কেন তবুও গরমে কোনও খামতি নেই। বর্ষার মত সুন্দর একটা ঋতু কিছুতেই উপভোগ করতে পারছে না বঙ্গবাসী। উপরন্তু বাড়িতে বাড়িতে রোগ জ্বালার কোনও শেষ নেই। জ্বর, সর্দি, কাশি, ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়ার মত সমস্যা জাঁকিয়ে বসছে বাড়িতে বাড়িতে। শুক্রবার বিকেল থেকেই অর্ধেক দেশবাসী ছুটির মেজাজে। কিছু পেশার কিছু মানুষই আছেন যাঁদের কাছে এই মুহূর্তে লং উইকএন্ড উদযাপন করার অবকাশ নেই। বর্ষার প্রকৃতি দেখতে আর ছুটি কাটাতে মানুষ পাড়ি দিচ্ছেন নানা দিকে। কেউ জঙ্গল, কেউ পাহাড় আবার কেউ সমুদ্র। আর যাঁরা কোথাও যেতে পারেননি তাঁদের বাড়ি ছাড়া আর কোথাও কোনও জায়গা নেই।
ছুটির দিন মানেই বাড়ির সকলে মিলে একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, বিশ্রাম আর আড্ডা। আবার অনেকেই রান্না করতে ভালবাসেন। রান্না তাঁদের কাছে একরকম প্যাশন। সারাদিনের পরিশ্রম, স্ট্রেসের পর রান্না তাঁদের কাছে stress buster- এর কাজ করে। রোজ কাজের চাপে ভাল মন্দ রান্না করার সুযোগ হয় না। আর তাই ছুটির দিনে মটন এনে বাড়িতেই রেঁধে নিন কালা ভুনা। রেস্তোরাঁর রান্নার থেকে তা যে শতগুণে ভাল হবে তা হলফ করেই বলা যায়। আর এই মটন কালা ভুনা বানানো বেশ সহজ।
প্রেসার কুকার গরম করতে বসিয়ে প্রথমে সেখানে তিন চামচ সরষের তেল দিন। এবার তেল গরম হলে মিহি করে কুটনো পেঁয়াজ এক বাটি, শুকনো লঙ্কা, দারচিনি, ছোট দুটো এলাচ, লবঙ্গ, তেজপাতা দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে। এবার ধুয়ে রাখা মাটনের টুকরো, আদা-রসুনের পেস্ট, কাঁচা লঙ্কার পেস্ট বড় এক চামচ দিয়ে ভাল করে কষিয়ে নিতে হবে। এবার হলুদ গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, লঙ্কা গুঁড়ো, স্বাদমতো নুন দিয়ে কষতে থাকুন। স্বাদের জন্য একটু চিনি দিতে ভুলবেন না। ভাল করে কষিয়ে নিয়ে জল ঝরানো টকদই এককাপ মিশিয়ে দিন এর মধ্যে। এরপর এককাপ গরম জল মিশিয়ে একদম স্লো হিটে কষতে থাকুন। দুটো সিটি পড়লেই তৈরি মটন ভুনা। ১০ মিনিট ভাপে রেখে তারপর প্রেশার কুকার খুলুন।