
শরীরের জন্য খুব ভাল হল মুসুর ডাল। যে কোনও ডালই পুষ্টিতে ভরপুর। তবে অনেকেই বলেন ডাল খেলে হজম হতে সমস্যা হয়। ডাল খেলে গ্যাস-অ্যাসিডিটি হয় প্রায়শই। ডালের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন। আছে খনিজ এবং ফাইবার। ফলে নিরামিষাশীদের জন্য খুব ভাল হল ডাল। মুসুর ডালের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক এবং পটাশিয়াম। সেই সঙ্গে মুসুর ডালের মধ্যে প্রোটিন থাকে ২৫ শতাংশেরও বেশি। যে কারণে মুসুর ডাল হল প্রোটিনের অন্যতম বিকল্প। এছাড়াও মুসুরের ডাল আয়রনের বড় উৎস। অনেক সময় ডাল বেশি খেলে হজম হয় না। পেটে গ্যাস হয়। তাই বিশেষজ্ঞরা সব সময় রাতের খাবারের পরিবর্তে দুপুরে ভাতের সঙ্গে ডাল খাওয়ার পরামর্শ দেন। যাঁদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকে তাঁরাও অনেকে ডাল খেতে পারেন না। তবে এই ভাবে ডাল খেলে হজম যেমন হবে তেমনই শরীরও থাকবে ভাল। সেই সঙ্গে যে সব ডালই রাখবেন ডায়েটে
মটর ডাল- মটর ডাল শরীরের জন্য ভাল। রুটি, পরোটার সঙ্গে এই মটর ডালের ঘুগনি খাওয়ার বিশেষ চল রয়েছে। ঘুগনি দিয়ে মুড়ি বা লুচি খেতেও কিন্তু বেশ ভাল লাগে। মটর ডাল খাওয়ার আগে অন্তত ৮-১২ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখুন। সেই সঙ্গে মটর ডাল সিদ্ধ করার সময় সামান্য হিং ফেলে দিন। পেঁয়াজ, রসুন ছাড়া আদা আর গোটা জিরে দিয়েই রান্না করুন এই ডাল। এতে খেতে যেমন ভাল লাগবে তেমনই হজমের সমস্যাও হবে না।
বিউলির ডাল- গরম ভাতে বিউলির ডাল আর আলুপোস্ত খেতে বেশ লাগে। বিউলির ডাল বেশ ভারী। ফলে এই ডাল খেলে যেমন হজম হতে অনেক সময় লাগে তেমনই পেটে বেশি গ্যাসও তৈরি করে এই ডাল। যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে তাদের এই ডাল এড়িয়ে চলতে পারলেই সবচাইতে ভাল। এছাড়াও যাদের পায়ে কোনও ব্যথা রয়েছে তাঁরাও না খেলেই ভাল। রান্না করার আগে অন্তত ৮-১০ ঘণ্টা এই ডাল ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ওই জাল ফেলে দিয়ে সামান্য হিং দিয়ে ডাল সিদ্ধ করুন। তারপর ধনে গুঁড়ো দিয়ে রান্না করলেই হবে।
ছোলার ডাল- ছোলার ডালের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি আর ফাইবার। খেতেও খুব ভাল লাগে। ছোলার ডাল বানানোর আগে অন্তত ৪-৬ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। মৌরি, হিং আর সামান্য ধনে গুঁড়ো দিয়ে রান্না করুন এই ডাল। এতে হজমও সহজ হবে। ছেলার ডাল সিদ্ধ করার সময় জলে সামান্য মেথি ফেলে দিতে পারেন। এতেও কিন্তু স্বাদ বাড়ে।
অড়হড় ডাল- অড়হড় ডাল স্বাদে খুব ভাল। তবে এই ডাল ঠিকমতো রান্না করতে জানতে হয়। নইলে মুশকিল। ৩০-৪০ মিনিট ভিজিয়ে রেখে এই ডাল রান্না করুন। হিং, ধনে এই সব দিয়েও বানাতে পারেন। এতে খেতে বেশ লাগবে।