
বাঙালির পাতে মাছ থাকবে না, তা হয় না। রুই, কাতলা, ভেটকি, ইলিশ থেকে শুরু করে পাবদা, লোটে, পমফ্রেট, চিংড়ি সবকিছুই থাকে বাঙালির পাতে। কখনওই টমেটো দিয়ে মাছের ঝাল আবার কখনও সর্ষে বাটা দিয়ে। একইভাবে, রবিবারের দুপুর মানে চিকেন নাহলে মাটন। মাংসের সঙ্গেও বাঙালির বন্ধুত্ব নতুন নয়। কিন্তু আপনার মাছ, মাংসে ভাল স্বাদ হয় তো? রোজ রান্না করলেও মাছ, মাংস রাঁধার ক্ষেত্রে এমন অনেক ছোট্ট ভুল হয়ে যায়, যা বদলে দেয় খাবারের স্বাদ। মাছ, মাংস হল এমনই খাবার যা ভাল করে রান্না না করলে স্বাদ আসে না। আর যদি সমস্ত মশলা দিয়ে সঠিক পদ্ধতিতে রান্না করেন তাহলে আঙুল চাটতে থামে না কেউ। মাছ, মাংস রান্নার সময় কোনও বিষয়ের খেয়াল রাখতেই হবে, রইল টিপস।
ভাল করে ধুতে হবে- মাছ, মাংসের মধ্যে আঁশটে গন্ধ থাকে। তাই রান্না শুরুর আগে ভাল করে মাছ, মাংস ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। আপনি যদি ভাল করে মাছ, মাংস না ধুয়ে রান্না করেন তাহলে প্রথমত আঁশটে গন্ধ ছাড়বে, পাশাপাশি খাবারের স্বাদও হবে না।
ম্যারিনেট করুন- রান্নাঘরে খুব বেশি যাতায়াত নেই? মাছ, মাংসে স্বাদ আনতে ম্যারিনেশনের সাহায্য নিন। ম্যারিনেট করে রান্না করলে মাছ, মাংসে স্বাদ আসে। পাশাপাশি মাছ, মাংস চটজলদি রান্নাও হয়ে যায়। মাছ, মাংস যদি ঘণ্টাখানেক ম্যারিনেট করে রাখতে পারেন, তাহলে স্বাদ বেড়ে যাবে।
মশলার সাহায্য নিন- আপনি মাছ, মাংসে যত বেশি মশলা ও ভেষজ উপাদান ব্যবহার করবেন, খাবারের স্বাদ বাড়বে। কিন্তু মশলা কষিয়ে নেওয়া পর তাতে মাছ, মাংস দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করুন। এতে মাছ, মাংসের মধ্যে মশলা ও রস ঢুকবে। মাছ, মাংস সেদ্ধও ভাল হবে এবং স্বাদও ভাল হবে।
কম পরিমাণে রান্না করুন- একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণে মাছ, মাংস রান্না করলে তার স্বাদ ভাল নাও হতে পারে। অনেকটা পরিমাণে চিকেন বা মাটন রান্না করলে, তা সেদ্ধ হতে সময় নেই। পাশাপাশি মশলা ঢোকে না মাংসের মধ্যে। তাই অল্প পরিমাণে মাছ, মাংস রান্না করুন।
বেশি রান্না করবেন না- সব মাছ একই উপায়ে রান্না করা হয় না। যেমন ইলিশের পাতুরি জন্য প্রয়োজন কলা পাতা আর চিকেন তন্দুরির জন্য প্রয়োজন লোহার স্টিক। তাই মাছ বা মাংসের পদ অনুযায়ী আপনাকে সঠিক উপায় বেছে নিতে হবে। পাশাপাশি কোনও রান্নাই বেশি সেদ্ধ করবেন না। ওভারকুক করলে আপনার রান্না খারাপ হয়ে যেতে পারে। এ বিষয়ে খেয়াল রাখুন।