ফ্যাট লিভারের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। পরীক্ষা করলে দেখা যাবে ১০০ জনের মধ্যে ৮০ জনের রয়েছে ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। এতে লিভার ঠিকমতো কাজ করে না। পাশাপাশি খাবার হজম হয় না, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা লেগে থাকে, পেটে ব্যথা হয় সেই সঙ্গে লিভারের উপরও খারাপ প্রভাব পড়ে। অনেকের ক্ষেত্রে ওজন বেশি থাকার কারণে সেখান থেকেও আসে এই ফ্যাটি লিভারের সমস্যা। ডায়াবেটিস থেকেও হতে পারে ফ্যাটি লিভার। একেবারে প্রথমেই যে ফ্যাটি লিভারের লক্ষণ দেখা যায় এমনটা নয়, বরং যখন ধরা পড়ে তখন অনেকটা দেরি হয়ে যায়। কিছু নিয়ম মেনে চললে ফ্যাটি লিভার নিজের থেকেই সেরে যায়। তবে নিয়ম না মেনে যদি বেশি তেল-মশলা খাওয়া হয়, অ্যালকোহল খাওয়া হয় তাহলে সমস্যা অনেক বেশি বেড়ে যায়। প্রথম থেকেই চেষ্টা করুন ফ্যাটি লিভার নিয়ন্ত্রণে রাখায়, নইলে পরে নিজেই পড়বেন জটিলতায়।
ফ্যাটি লিভার থেকে গেলে সেখান থেকে হাই ব্লাডপ্রেশার, লিভার ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্টের সমস্যার ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। তাই নিজে সজাগ থাকুন, একই সঙ্গে বিশেষজ্ঞের দেওয়া টিপস রাখুন পাতে।
রোজ একবাটি করে ফল আর সবজি খেতে হবে। এছাড়াও পাতে গোটা শস্য রাখতে ভুলবেন না. শীতে বাজারে অনেক সবজি পাওয়া যায়। কোনও একটা সবজির তরকারি খান এক বাটি। সঙ্গে বিভিন্ন মরশুমি ফলও রাখবেন। ব্রেকফাস্টে গোটা শস্য খান। ওটস, কর্নফ্লেক্স, মুজলি এসব শরীরের জন্য খুবই ভাল।
চর্বিহীন প্রোটিন খান। মুরগর মাংসে অনেক প্রোটিন থাকে। চেষ্টা করুন মুরগির ব্রেস্ট খাওয়ার। মুরগির লেগ খেতে ভাল হলেও এর মধ্যে প্রোটিনের ভাগ বেশি। এছাড়াও নিয়ম করে মাছ, ডিম, টোফু, সবুজ মটর, ছোলা, সোয়াবিন এসবও খেতে হবে। রোজ দুটো করে আমন্ড রাখুন পাতে।
ট্রান্স ফ্যাট এড়িয়ে চলুন। এই ফ্যাট শরীরের জন্য একদম ভাল নয়। চিকেন বেশি ভেজে খেলে তার মধ্যে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়। প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই চলবে না। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা থাকলে এই সব খাবার একেবারেই নয়।
চিনিও শরীরের জন্য একদম ভাল নয়। ডায়েটে তাই চিনিযুক্ত খাবার এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার একেবারেই রাখবেন না। পরিবর্তে লিভার ডিটক্সিফাই করতে পারে এমন কোনও পানীয় অবশ্যই রাখবেন। কফি খান, তবে দুধ-চিনি দেওয়া কফি চলবে না। এতে শরীরে একাধিক সমস্যা হতে পারে। তবে কফি কাপের পর কাপ চলবে না।