
মাছের প্রতি বাঙালির বিশেষ টান। আর যদি ফিশ ফ্রাই পাওয়া যায় তাহলে তো আর কথাই নেই। মজা করে বললে বলতে হয়, অনেকের তো বিয়ে বাড়ি যাওয়ার অন্যতম কারণই এই ফিশ ফ্রাই। রাস্তার পাশের নানা দোকান বা হোটেল রেস্তোরাঁতেও অনেকেই ফিশ ফ্রাইয়ের লোভে ভিড় করেন।
ফিশ ফ্রাই বলতেই আমরা বুঝি ভেটকি মাছের। তবে শুধু ভেটকি দিয়েই নয় বাশা বা ভোলা ভেটকি দিয়েও ফিশ ফ্রাই তৈরি হয়। শুধু তাই-ই নয়, লটে মাছ দিয়েও দারুণ তৈরি হয় ফিশ ফ্রাই। এর স্বাদ এমনই যে বোঝার উপায় নেই ভেটকি না লটে। আর ভেটকির দামের তুলনায় অনেকটাই কম লটে মাছের দাম। তাই আর অন্য কিছু না ভেবে বর্ষার সন্ধেতে বানিয়ে ফেলুন গরম-গরম লটে ফিশ ফ্রাই। রইল রেসিপি…
প্রথমেই দেখে নেওয়া যাক এই পদ বানাতে কী-কী লাগবে…
উপকরণ:
১. লটে মাছ
২. কর্নফ্লাওয়ার
৩. ময়দা
৪. গোলমরিচের গুঁড়ো
৫. স্বাদমতো নুন
৬. আদা
৭. রসুন
৮. পাতিলেবুর রস
৯. ব্রেড ক্রাম্বস
১০. কাসুন্দি
স্টেপ ১-
প্রথমেই মাছ গুলি ধুয়ে নিন। বড় মাছ হলে কেটে দু’ টুকরো করে নিন। মাঝারি আকারের মাথ হলে একটা গোটা মাছ দিয়েই একটা ফিশ ফ্রাই তৈরি করতে হবে। এবার মাছ থেকে কাঁটা বেছে বের করে নিন।
স্টেপ ২-
এবার মাছের কাঁটা ছাড়ানো হয়ে গেলে তাতে নুন মাখিয়ে রেখে দিন। দেখবেন তাতে অনেকটা জল বেরিয়ে আসবে। এবার ওই বাড়তি জলটা ফেলে দিন।
স্টেপ ৩-
এবার মাছের মধ্যে গোলমরিচের গুঁড়ো, নুন, আদা ও রসুন বাটা, লেবুর রস ও কাসুন্দি মাখিয়ে ম্যারিনেট করে রেখে দিন।
স্টেপ ৪-
অন্যদিকে একটি পাত্রে ময়দা, কর্নফ্লাওয়ার, গোলমরিচের গুড়ো ও নুন নিন এবার তা ভাল করে গুলে নিন।
স্টেপ ৫-
এবার লটে মাছগুলি এই মিশ্রণে কোট করে নিন। অন্য একটি পাত্রে ব্রেড ক্রাম্বস ও গোলমরিচের গুঁড়ো নিন। এবার মাছগুলি এই মিশ্রণে আরও একবার কোট করে নিন। এরপর আবার ময়দার ব্যাটারে ডুবিয়ে ফের ব্রেড ক্র্যাম্বসে কোট করুন।
স্টেপ ৬-
কড়াইয়ে তেল গরম করে নিন। তেল গরম হয়ে গেলে তাতে মাছগুলি দিয়ে ভাল করে ভেজে নিন। মনে রাখবেন বাদামি হওয়া পর্যন্ত ভাজতে হবে। এরপর কড়াই থেকে নামিয়ে কেচাপ বা মেয়োনিজের সঙ্গে পরিবেশন করুন গরম-গরম লটে মাছের ফিশ ফ্রাই।