
শরীরে পুষ্টির জোগান দিতে ভূমিকা রয়েছে ভিটামিন বি১২ এর। এই ভিটামিন জলে দ্রবণীয়। স্নানু, লাল রক্ত কণিকা আর ডিএনএ-এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হল এই ভিটামিন। ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার না খেবে শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা গড়ে ওঠেনা। একই সঙ্গে শরীর ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে যায়। সেই দুর্বলতা থেকে কেউ রক্ষা করতে পারে না। ভিটামিন বি ১২ এর অভাব হলে অনেকেই প্রথমে তা বুঝতে পারেন না। বরং একরকম এড়িয়ে যান। এড়িয়ে গেলে বিপদ বাড়বে। শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর চাহিদা কাদের মধ্যে সবচাইতে বেশি হয়?
যাদের পেটে বেশি পরিমাণে হাইডড্রোক্লোরিক অ্যাসিড তৈরি হয় এবং প্রোটিন সহজে শোষিত হয় না তাদের শরীরে এই ভিটামিন বি-১২ এর অভাব সবচাইতে বেশি লক্ষ্য করা যায়। আর তাই সুস্থ থাকতে এবং শরীরে ভিটামিন বি ১২ এর চাহিদা মেটাতে কিছু নিয়ম মেনে চলতেই হবে।
অ্যালকোহল বেশি খাওয়া চলবে না
অতিরিক্ত গরম খাবার, ঝাল-মশলাদার খাবার চলবে না
মিষ্টি খাবার খাওয়া যাবে না
যাদের দীর্ঘদিনের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা রয়েছে, যাদের পেটে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড উৎপন্ন হয় তাদের শরীরে এই ভিটামিন বি-১২ এর অভাব সবচাইতে বেশি।
শরীরে ভিটামিন বি-১২ এর অভাবে যা কিছু হতে পারে-
হার্টের সমস্যা
শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণ রক্ত না থাকা
টাইপ ১ ডায়াবেটিস
গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার
রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস
ওজন কমে যাওয়া, বমি বমি ভাব
জিভ ফুলে যাওয়া
ওজন কমে যাওয়া
অতিরিক্ত ক্লান্তি, দুর্বলতা
ভিটামিন বি-১২ এর অভাবজনিত লক্ষণ রুখতে যা কিছু খাবেন-
মাছ- নিয়মিত ভাবে মাছ খেতে হবে। মাছের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন। শরীরের প্রয়োজনীয় কিছু খনিজও পাওয়া যায় মাছ থেকে।
ডিম– রোজ একটা করে ডিম অবশ্যই খান। ডিম সেদ্ধ অথবা পোচ বানিয়ে খেতে পারেন। তবে হাফ বয়েলড ডিম এড়িয়ে চলতে পারলেই ভাল।
দুধ-পনির- রোজ রোজ দই, পনির, ছানা এসব অবশ্যই রাখুন তালিকায়। রেড মিট না খেয়ে চিকেন খাবেন। এতে শরীর পুষ্টি পাবে আর শরীরের নানা কাজেও আসবে।