ওজন কমানোর পদ্ধতি জীবনযাপনের অন্যতম কঠিন একটা পর্যায়। এটা আর যাই হোক, সহজ কাজ নয়। এটি এমন একটি প্রক্রিয়া যার জন্য কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা এবং সংকল্প প্রয়োজন। এটি প্রচুর ওয়ার্কআউট এবং নির্দিষ্ট ডায়েটে সীমাবদ্ধ থাকার প্রতিফলন। এর পাশাপাশি, এগুলি মেনে চলার জন্য কঠোর শৃঙ্খলা প্রয়োজন। অনেকেই ওজন কমাতে বিভিন্ন ডায়েট পছন্দ করেন। কেউ কেউ বলেন যে শুধুমাত্র তরল খাবার অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে।
তরল খাবার কী?
ঘরের তাপমাত্রায় তরল অবস্থায় থাকা যেকোনও খাবারই তরল খাবারের আওতায় পড়ে। তরল খাবার ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। মানুষের পাচনতন্ত্রের উপর নির্ভর করেও তরল খাবারের সামঞ্জস্য সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পরিবর্তিত হয়।
আপনার কখন তরল ডায়েটে স্যুইচ করা উচিত?
তরল খাবার গ্রহণের পরিমাণ একজন ব্যক্তির শারীরিক চাহিদার উপর নির্ভর করে। ক্যালোরি কমানোর জন্য যে পরিমান তরল খাবার আপনি গ্রহণ করবেন, গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় তার চেয়ে অন্য পরিমাণের তরল খাবার আপনাকে খেতে হবে। তাই, তরল খাবারের পরিমাণ নির্ধারণের জন্য আমাদের ক্লিনিক্যাল আর ফিজিক্যাল অবস্থাগুলি জানা খুব দরকার।
তরল খাবার কি অন্যান্য ডায়েটের চেয়ে বেশি কার্যকর?
কোন ব্যক্তির জন্যই নিখুঁত খাবার বলে কিছু হয় না। বিভিন্ন মানুষের জন্য বিভিন্ন রকমের ডায়েটের প্রয়োজন হয়ে থাকে। একজন ব্যক্তির নিজের শারীরিক চাহিদার দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। তারপর সেই অনুযায়ী ডায়েট প্ল্যান করা উচিত। একজন ব্যক্তিকে মাঝে মধ্যেই ডায়েট বদলাতে হতে পারে। একচেটিয়া ডায়েট শরীরের ওজন কমানোর পরিবর্তে বাড়িয়ে দিতে পারে। আপনি কেমন লাইফস্টাইল মেনে চলছেন সেটাও আপনার ওজনের ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এমন অনেক সময়ই হয় যে বেশ কিছুদিন ছাড়া ছাড়া আমাদের ডায়েট প্ল্যান পরিবর্তন করতে হয়। তবে, শুধুমাত্র তরল খাবার খেলে আমাদের ওজন কমে যায় না।
তরল খাদ্যের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক দিক কী?
ইতিবাচক দিক সম্পর্কে বলতে গেলে, তরল খাদ্য একজন ব্যক্তিকে হাইড্রেটেড থাকতে সাহায্য করে। এটি একজন ব্যক্তিকে সারাদিন হাইড্রেটেড রাখার জন্য প্রচুর পরিমাণে জল এবং পুষ্টি সরবরাহ করে। এমনকি ভ্রমণের সময়, ভারী কিছু খাবার গ্রহণের পরিবর্তে, তরল খাবার খেলে অনেক বেশি সতেজ লাগে। এটি আমাদের পরিপূর্ণতার অনুভূতি দেয়। পাশাপাশি অস্বাস্থ্যকর এবং জাঙ্ক ফুড খাওয়া থেকে আমাদের দূরে সরিয়ে রাখে।
অবশ্য তরল খাবার খাওয়ার কিছু নেতিবাচক দিকও আছে। যদি তরল খাদ্য সুপরিকল্পিত না হয়, তাহলে এটি শরীরে প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব ঘটাতে পারে। মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের অভাব মানে গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং খনিজগুলির অভাব যা শরীরের সঠিক বৃদ্ধি এবং বিকাশের জন্য প্রচুর পরিমাণে প্রয়োজন। তরল খাবার প্রায়ই শরীরকে দুর্বল করে দেয়। এর ফলে মাথা ঘোরা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অস্বস্তি হতে পারে।
আরও পড়ুন: ফুসফুসের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য এই বিষয়গুলোর ওপর নজর দিন…
আরও পড়ুন: টনসিলের সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য এই উপায়গুলো অবশ্যই মেনে চলুন…