মধ্যবিত্ত বাড়িতে বাসি রুটি খাওয়ার চল পুরনো। সকালের জলখাবারে বাসি রুটি আর দুধ-চা খেতে পছন্দ করেন অনেকে। কারও ধারণা বাসি রুটি খেলে গ্যাস-অম্বল হয়। আবার অনেকেই নাক সিঁটকান বাসি রুটি দেখে। কিন্তু বাসি রুটি খাওয়া কি আদতে শরীরের পক্ষে ভাল? নাকি টাটকা রুটির গুণ বেশি? বিশেষজ্ঞদের মতে, আগের দিন রাতে করা রুটির পুষ্টিগুণ পরদিন সকালে আরও বেড়ে যায়। অর্থাৎ বাসি রুটি খেলে আপনি একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা পেতে পারেন।
প্রতিদিন যদি সকালবেলা জলখাবার বানানোর ঝামেলা থেকে মুক্তি পেতে চান, তাহলে বাসি রুটির উপর ভরসা করা শুরু করুন। রাতে কয়েকটা রুটি বেশি বানিয়ে রেখে দিন। পরদিন সকালে ব্রেকফাস্টে ওই বাসি রুটি খান। সঙ্গে রাখতে পারেন সবজির তরকারি বা দুধ। বাসি রুটি খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে একাধিক রোগের হাত থেকে বাঁচাবে। পাশাপাশি রোজ-রোজ ব্রেকফাস্ট তৈরির ঝামেলা থেকেও মুক্তি। রাতে রুটি বানিয়ে রাখলেই, পরদিনের ব্রেকফাস্ট তৈরি হয়ে যাবে। তার আগে জেনে নিন সকালের জলখাবারে বাসি রুটি খাওয়ার উপকারিতা।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে- সকালবেলা গরুর দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। এটি উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। যাঁদের রক্তচাপের সমস্যা নেই, তাঁরা সবজির তরকারির সঙ্গে বাসি রুটি খেতে পারেন। পুষ্টিবিদদের মতে, দুধের সঙ্গে বাসি রুটি খেলে রক্তচাপের সমস্যা দূরে থাকে।
পেট ফোলা দূর করে- যাঁরা মনে করেন, বাসি রুটি খেলে গ্যাস-অম্বল হতে পারে, তাঁরা ভুল ভাবছেন। বাসি রুটি অন্ত্রের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে সাহায্য করে। সকালবেলা বাসি রুটি খেলে এটি অন্ত্রে মাইক্রোবিয়াম প্রচোরিত করে। এটি আপনাকে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য এবং পেট সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়।
ডায়াবেটিসের জন্য ভাল- ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে ব্রেকফাস্টে কী খাবেন, ভাবছেন? বাসি রুটি খেতে পারেন। ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য আদর্শ জলখাবার বাসি রুটি। তবে, বাসি রুটির সঙ্গে আপনাকে খেতে হবে দুধ। দুধ-চা ছেড়ে দুধ খান বাসি রুটির সঙ্গে।
ওজন কমায়- ওজন কমানোর জন্য ব্রেকফাস্টে শুধু ওটমিল খান? বাসি রুটি খেলেও আপনার ওজন কমবে। বাসি রুটির মধ্যে ভরপুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। এটি ওজনক বশে রাখতে সাহায্য করে। সকালের জলখাবারে বাসি রুটি খেলে এটি দীর্ঘক্ষণ পেটকে ভর্তি রাখে এবং খিদে পায় না।