
তেল-মশলা অতিরিক্ত খাওয়া শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। পেট জ্বালা করা, গ্যাস-অ্যাসিডিটির সম্ভাবনা, খাবার হজম না হওয়া, কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে একাধিক সমস্যা হয়। আর তাই যত হালকা-পাতলা খাওয়া যায় ততই ভাল। গরমের দিনে খাবার হজম করতে আরও বেশি সমস্যা হয়। আর তাই এসব দিনে পছন্দের খাবার বানিয়ে নিন বাড়িতেই। বাইরে থেকে যতটা সম্ভব কম অর্ডার করে খাবার খান। চলছে নবরাত্রি, বাসন্তী পুজো। অনেকেই বাড়িতে নিরামিষ খাচ্ছেন। নিরামিষ খাবার শরীর সুস্থ রাখতে, ঠান্ডা রাখতে খুবই সাহায্য করে। একে বৃহস্পতিবার তার উপর মহানবমীর পুজো- এমন দিনে এই নিরামিষ পনিরের রেসিপি বানিয়ে নিন বাড়িতে। ভাত, পোলাও বা রুটির সঙ্গে খেতে লাগবে ভাল। আর এই পনির বানাতে মশলাও লাগে খুব কম।
দুটি স্পেশ্যাল ম্যাজিক মশলাই এই রান্নার ইউএসপি। এছাড়াও লঙ্কা গুঁড়ো কিংবা হলুদের ব্যবহার একেবারেই নেই। মূলত দুধ দিয়েই রান্না করা হয়য। দেখে নিন কী ভাবে বানাবেন সম্পূর্ণ নিরামিষ এই কাশ্মীরী পনির-
এই পনিরে কোনও আলু পড়ে না। তাই পনিরের টুকরোগুলো একটু বড় রাখবেন। পনির লম্বা টুকরো করে কেটে নিন। এবার প্যানে এক চামচ সাদা তেল আর এক চামচ গাওয়া ঘি গরম করে নিন। এর মধ্যে পনির গুলো হালকা লাল করে ভেজে নিন। অন্য একটি পাত্রে ১ কাপ মাপের গরম জল নিন। এর মধ্যে একটু নুন ফেলে দিন। এবার ওই জলে পনিরের টুকরো গুলো ডুবিয়ে রাখুন ৫-৬ মিনিট পর্যন্ত। এবার ওই তেলে গোটা জিরে আর তেজপাতা ফোড়ন দিন। ওর মধ্যো এলাচ, লবঙ্গ আর দারুচিনি থেঁতো করে ফেলে দিন। একদম লো ফ্লেমে রান্না হবে। গন্ধ উঠলে ৩ চামচ দুধ দিয়ে ১ চামচ মৌরি গুঁড়ো আর ১ চামচ শুকনো আদা গুঁড়ো মেশান। মশলা কষে এলে আবার এক কাপ দুধ দিয়ে দিন। এবার পনির ভেজানো জল আর স্বাদমতো চিনি দিয়ে নাড়তে থাকুন। ফুটে এলে পনির দিন। এই রান্নায় কাঁচালঙ্কাও লাগে না। তাই স্বাদের জন্য ১ চামচ শা-মরিচের গুঁড়ো বা গোলমরিচের গুঁড়ো ছড়িয়ে নামিয়ে নিন। ব্যাস তৈরি কাশ্মীরী পনির।