
এক্সট্রা লোডেড চিজ় পিৎজ়া, বার্গার বা স্যান্ডউইচ কার না খেতে ভাল লাগে। বেশিরভাগ ইতালীয় খাবারে চিজ় ব্যবহার করা হয়। আবার চিজ়ও অনেক প্রকার। মোজ়েরেলা, ক্রিম চিজ়, ব্লু চিজ়, চেদ্দার ইত্যাদি। চিজ়ে ভরপুর খাবার কমবেশি সকলেই পছন্দ করেন। কিন্তু আপনি ১ মিনিটে ৫০০ গ্রাম মোজ়েরেলা চিজ় খেতে পারবেন? সম্প্রতি লিয়া শাটকেভার নামের এক ইউরোপিয়ান যুবতী ১ মিনিট ২.৩৪ সেকেন্ডে ৫০০ গ্রাম মোজ়েরেলা চিজ় খেয়ে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের জায়গা করে নিয়েছে। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ইনস্টাগ্রাম পেজ ওই যুবতীর চিজ় খাওয়ার ভিডিয়ো শেয়ার করা হয়েছে।
ভিডিয়ো দেখে বোঝাই যাচ্ছিল, একসঙ্গে এতটা পরিমাণ মোজ়েরেলা চিজ় খেতে একটু কষ্টই হচ্ছে লিয়ার। কিন্তু তিনি একটুও হার মানেননি। বিশ্ব রেকর্ড গড়তে ২৫০ গ্রামের দু’টো মোজ়েরেলা চিজ়ের টুকরো ১ মিনিটে খেতে নিলেন তিনি। আর এখন পেশাদার ভোজনকারী হিসেবে তাঁর নাম উঠে গিয়েছে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে। একসঙ্গে এত পরিমাণ চিজ় খাওয়া কি শরীরের জন্য উপযুক্ত?
দুগ্ধজাত পণ্য হিসেবে চিজ়েরও কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে। চিজ়ের মধ্যে ক্যালশিয়াম, ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। এমনকী এই খাবারে ভিটামিন এ, বি২, জিঙ্ক, ফসফরা, ওমেগা-৩ ও ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। তাই চিজ় প্রতিদিন খেলে আপনার স্বাস্থ্যেরই উপকার হবে। কিন্তু কতটা পরিমাণ চিজ় স্বাস্থ্যের জন্য উপযুক্ত? একসঙ্গে ৫০০ গ্রাম চিজ় কখনওই স্বাস্থ্যে উপকারিতা প্রদান করতে পারে না। বরং, একসঙ্গে এতটা পরিমাণ চিজ় খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।
আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশনের মতে, সারাদিনে আপনি ৩ বার চিজ় খেতে পারেন। আর চিজ়ের পরিমাণ ৪০ গ্রামের চেয়ে বেশি যেন না হয়। অর্থাৎ, মানবদেহের জন্য ৪০ গ্রাম পর্যন্ত চিজ় স্বাস্থ্যকর। এর চেয়ে বেশি হলেই বিপদ। সেখানে লিয়া ১ মিনিটে ৫০০ গ্রাম মোজ়েরেলা চিজ় খেয়েছেন। এর জেরে কী হতে পারে, জানেন?
ওজন বৃদ্ধি- চিজ় ক্যালোরির পরিমাণ বেশি থাকে। প্রতি ২৮ গ্রাম চিজ়ে ১০০ ক্যালোরি থাকে। এছাড়া এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ বেশি। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ চিজ় খেলে ওজন বেড়ে যেতে পারে।
হার্টের সমস্যা- স্যাচুরেটেড ফ্যাট কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। উচ্চ কোলেস্টেরল ডেকে আনে হৃদরোগ। তাই চিজ় যদি সীমিত পরিমাণে না খাওয়া হয়, তাহলে হার্টের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
পেটের গন্ডগোল- চিজ় দুধ থেকে তৈরি হয় এবং প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট থাকে। পাশাপাশি ল্যাক্টোজও থাকে। ল্যাক্টোজ ইনটলারেন্স হলে চিজ় হজমে সমস্যা হবে। সেখানে অতিরিক্ত পরিমাণে চিজ় খেলে বদহজম, গ্যাস, ডায়ারিয়া, পেট ফুলে যাওয়া ও কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
উচ্চ রক্তচাপ- চিজ়ের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম রয়েছে, এটি কোষে জলের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। আবার দেহে সোডিয়ামের পরিমাণ বেড়ে গেলে রক্তচাপের মাত্রা বেড়ে যায়। এখান থেকে হার্টের সমস্যা, কিডনির সমস্যা এবং অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা দেখা দেয়। তাই কখনওই মাত্রাতিরিক্ত চিজ় খাওয়া উচিত নয়।