
ত্বকে একটার পর একটা সমস্যা লেগেই রয়েছে। কখনও ব্রণ বেরোচ্ছে, আবার কখনও লাল-লাল র্যাশ। ভাল মানের ফেসওয়াশ, ক্রিম ব্যবহার করেও দেখেছেন, কোনও লাভ হয়নি। ফেসওয়াশ ত্বক থেকে ময়লা, ব্যাকটেরিয়াল, অতিরিক্ত তেল পরিষ্কার করে দেয়। আর ময়েশ্চারাইজার ত্বকের আর্দ্রতা কমাতে সাহায্য করে। কিন্তু ব্রণ, ফুসকুড়ি, র্যাশ, চুলকানির মতো সমস্যার পিছনে থাকে প্রদাহ। ত্বককে প্রদাহ তৈরি হলে কোনও প্রসাধনীই কার্যকর হয় না। বরং, বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে ত্বকের প্রদাহ বাড়ে।
ভুল প্রসাধনী ব্যবহারের কারণে অনেকেই ত্বকের সমস্যায় ভোগে। প্রদাহ ও লালচে ভাব দেখা যায় ত্বকের উপর। এই ধরনের ত্বকের সমস্যা বা অ্যালার্জির হাত থেকে আপনাকে রক্ষা করতে পারে দুধের সর। মালাই বা দুধের সরের মধ্যে উচ্চ পরিমাণে ফ্যাট ও প্রোটিন রয়েছে। এই প্রাকৃতিক উপাদান ত্বককে হাইড্রেট রাখতে সাহায্য করে। ঠান্ডা মালাই মাখলে ত্বকে শীতলতা আসে, প্রদাহ কমে। তাছাড়া ত্বক হয়ে ওঠে সতেজ ও কোমল।
ব্রণ থেকে দাগছোপ, চুলকানি, র্যাশের সমস্যা দূর করতে আপনি মালাই বা দুধের সর মাখতে পারেন। এই উপকারিতাগুলো প্রদান করা ছাড়াও দুধের সরের আরও গুণ রয়েছে। সেগুলো কী-কী দেখে নিন।
১) দুধের সরের মধ্যে ল্যাকটিক অ্যাসিড রয়েছে, ত্বকের উপর প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েটর হিসেবে কাজ করে। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষের স্তর পরিষ্কার করে দেয়।
২) নিয়মিত মুখে দুধের সর মাখলে এটি ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকারক ইউভি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে। এতে ট্যানের হাত থেকে ত্বককে রক্ষা করা যায়। পাশাপাশি ত্বকের জেল্লা বাড়ে।
৩) দুধের সর মুখে উপর মালিশ করলে ত্বক পুনরুজ্জীবিত হয়ে ওঠে। দুধের সরে ভিটামিন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বককে বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষা করে। এতে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধি পায়, স্কিন টোন উন্নত হয় এবং বলিরেখা পড়তে দেরি হয়।
৪) শুষ্ক ত্বকের উপর সবচেয়ে ভাল কাজ করে দুধের সর। যদি, ত্বকে আর্দ্রতা অভাব থাকলে র্যাশের সমস্যা বাড়ে। প্রদাহ তৈরি হয়। তাই আপনি রোজ দুধের সর মুখে মালিশ করতে পারেন। নরম্যাল ত্বকে দুধের সর ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু তৈলাক্ত ও ব্রণ-প্রবণ ত্বকে দুধের সর মাখবেন না।