
পুজোর আগে নতুন হেয়ার কালার মানেই লুক বদলের এক্কেবারে সহজ উপায়। কিন্তু হেয়ার কালার করানোর সমস্যাও আছে। কারণ, কয়েকদিনের মধ্যেই চুলের রঙ ফিকে হয়ে যায়। আর সেই নতুনের মতো উজ্জ্বলতা থাকে না। তবে এর জন্য আর চিন্তা নেই! কয়েকটা ছোট্ট টিপস মানলে এ বার থেকে চুলের কালার থাকবে দীর্ঘদিন দীপ্তিময়। চুলে কালার করানো মানেই একখানা গ্ল্যামারাস লুক। আর তাতে কোনওভাবে আঁচ পড়ুক কেউই চান না। হেয়ার কালার কীভাবে নতুনের মতো থাকবে, তা নিয়ে নিম্নে আলোচনা করা হল।
চুল রঙ করার পর সাধারণ শ্যাম্পু রঙকে দ্রুত ফিকে করে ফেলে। তাই অবশ্যই সালফেট-ফ্রি ও কালার-প্রোটেক্ট শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। চুল মৃদু ভাবে পরিষ্কার করলে রঙ বেশিদিন টিকে থাকে।
গরম জল চুলের কিউটিকল খুলে দেয়, ফলে কালার তাড়াতাড়ি উঠে যায়। শ্যাম্পু করার সময় সবসময় হালকা গরম বা ঠান্ডা জল ব্যবহার করতে হবে।
কালার করা চুল দ্রুত শুষ্ক হয়ে যায়। তাই সপ্তাহে অন্তত ২-৩ বার ডিপ কন্ডিশনিং মাস্ক বা হেয়ার সিরাম ব্যবহার করতে হবে। এর ফলে চুল নরম থাকবে, রঙও দীর্ঘস্থায়ী হবে।
সূর্যের রোদে কালার দ্রুত ফিকে হয়ে যায়। বাড়ির বাইরে বেরোলে চুল ঢাকার জন্য স্কার্ফ ব্যবহার করুন। অথবা UV-প্রোটেকশন যুক্ত হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করুন।
প্রতিদিন শ্যাম্পু করলে রঙ দ্রুত চলে যায়। চেষ্টা করুন ২-৩ দিন পর পর শ্যাম্পু করতে। এর মধ্যে চাইলে ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন।
স্ট্রেইটনার, কার্লার বা হেয়ার ড্রায়ার অতিরিক্ত ব্যবহার করলে কালার ফিকে করে। চেষ্টা করতে হবে কম হিট স্টাইলিং করার, আর প্রয়োজনে অবশ্যই হিট-প্রটেকশন স্প্রে ব্যবহার করার।
কালার করার পর নারকেল বা সর্ষের তেল সরাসরি রঙ ফিকে করতে পারে। এর বদলে হালকা ভেষজ তেল বা জোজোবা অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।