
ফের শুরু হয়েছে বিয়ের সিজন। কোভিডের পর থেকে বেড়েছে বিয়ের অনুষ্ঠান। অঘ্রাণ মাস হিন্দুদের কাছে শুভ মাস। এই দুই মাসে যেমন প্রচুর শুভ কাজ হয়েছে তেমনই মাঘেও হয়। মাঘ মাসে বিয়েবাড়ি, অন্নপ্রাশন, এনগেজমেন্ট, গৃহপ্রবেশের অনুষ্ঠান লেগেই থাকে। বিয়েবাড়ি এখন মেগা ইভেন্ট। টানা চারদিনের উৎসব। সঙ্গীত, মেহেন্দি থেকে শুরু করে গায়েহলুদ, আইবুড়োভাত, বিয়ে- সে এক এলাহি ব্যাপার। এখন বিয়ের সাজ নিয়ে অনেক রকম এক্সপেরিমেন্ট চলে। মেহেন্দির সাজ হয় একরকম, গায়েহলুদের সাজ হয় একরকম। আগেকার দিনে গায়েহলুদে মেয়েরা শুধুই লাল-হলুদ শাড়ি পরতেন। এখন কিছুজন যেমন লেহঙ্গা পরে তেমনই অনেকে শারারা বেছে নেয়। আবার শাড়িও আছে। সেই শাড়ির রঙে আছে বৈচিত্র্য। কারও যেমন পছন্দ হলুদ কারও গোলাপি আবার কারোর সাদা। গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ঘুরে ফিরে সব রকম রঙই দেখা যায়
স্লিভলেস ব্লাউজের সঙ্গে হলুদ সিল্ক এখন অনেকেই পরে গায়েহলুদে। এখন অনেক রকম হালকা বেনারসি পাওয়া যায়। শিফন বেনারসির সঙ্গে হলুদ স্লিভলেস বা সাদা স্লিভলেস দিয়ে পরলে বেশ ভাল লাগে দেখতে। আবার গোলাপি সিল্কও ভাল লাগে এদিনের অনুষ্ঠানে। অনেকে আবার হলুদ হ্যান্ডলুমের শাড়ি পরেন। কেউ বানান স্পেশ্যাল লেহঙ্গা। গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে এর সঙ্গে ফুলের গয়না থাকলেও দেখতে লাগে দুর্দান্ত। হলুদ গোলাপ সাদা জিপসি দিয়ে যেমন গয়না বানালে ভাল লাগে দেখতে তেমনই আর্টিফিশিয়াল ফুলের গয়নাও এখন কিনতে পাওয়া যায় বাজারে। বিয়েতে সব ছবিই খুব ভাল আসে কিন্তু গায়েহলুদের ছবিই সবচাইতে ভাল আসে। তাই খুব বেশি না সেজে ট্রেন্ডি সাজুন। যেখানে ট্র্যাডিশন্যাল টাচ থাকবে আর স্টাইলিশও লাগবে।
এখন অনেক বাড়িতেই ছেলে-মেয়ের একসঙ্গে গায়ে হলুদ হয়। সেখানেও লেহঙ্গা-পাঞ্জাবি অথবা শাড়ি-পঞ্জাবিতে কো-অর্ডিনেট করে সাজেন অনেকে। তাই ককটেল শাড়ি হোক বা লেহহ্গা নিজের মত হালকা সাজে জমিয়ে দিন গায়ে হলুদ। একেবারে হালকা সোনার গয়নার সঙ্গে হলুদ শাড়ি লাল ব্লাউজেও দেখতে লাগে ক্লাসিক।