
শীতের দিন মানেই কমে যাওয়া দিনের আলো, কমে যাওয়া এনার্জি, বাড়তি অলসতা ও মাঝে মাঝে হালকা মনখারাপ। ঠান্ডা হাওয়ার সঙ্গে শরীরের তাপমাত্রাও নিচে নেমে যায়, ফলে মন-মেজাজে প্রভাব পড়ে। তাই শীতকালে শুধু শরীর নয়, মনকেও চাঙ্গা রাখতে দরকার এক বিশেষ ‘ওয়েলনেস রিচুয়াল’। যেখানে থাকবে হালকা ব্যায়াম, সঠিক খাবার, স্কিন-হেয়ার কেয়ার আর মনের রিল্যাক্সেশন।
শীতে ঘুম ভাঙা কঠিন। তাই হালকা স্ট্রেচ, হালকা যোগ ব্যায়াম, শ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন দিয়ে দিন শুরু করা ভাল। শরীরে রক্তসঞ্চালন বাড়ে, মনও সতেজ থাকে।
শীতে কম পাওয়া যায় রোদ। কিন্তু সকালে ১০–১৫ মিনিট সূর্য আলো শরীরে ভিটামিন–ডি বাড়ায়, হাড় ও মুড দুটিই ভাল রাখে। এটি শীতের অন্যতম জরুরি ওয়েলনেস রুটিন।
তুলসী, আদা, লেবু, দারুচিনি বা মধু মেশানো গরম পানীয় শরীর উষ্ণ রাখতে ও হজম ভালো রাখতে সাহায্য করে।
শীতের রুক্ষ আবহাওয়ায় ত্বক দ্রুত শুকিয়ে যায়। তাই শাওয়ারের পর বডি অয়েল, শিয়া বাটার লোশন বা নরম ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা শীতের ওয়েলনেসেরই অংশ।
ল্যাভেন্ডার বা ইউক্যালিপ্টাস–অয়েল দিয়ে ঘর সাজানো বা ডিফিউজার ব্যবহার করলে ঘুম ভাল হয়, স্ট্রেস কমে।
শীতে মন ধীর হয়ে যায়-এ সময় নিজের সঙ্গে সময় কাটানো মানসিক স্বাস্থ্যকে শক্ত করে। বই, নরম গান, জার্নাল লেখা- সবই মাইন্ড–ক্যাল্মিং রিচুয়াল।
সবজি, মাশরুম, চিকেন বা ডাল – স্যুপ শরীরকে উষ্ণ রাখে এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি জোগায়। এটি শীতের ওয়েলনেস ডায়েটের জনপ্রিয় অংশ।
দিনের শেষে হালকা গরম জলে লবণ দিয়ে পা ডোবালে স্ট্রেস কমে, ঘুম ভাল হয় এবং শীতের ক্লান্তি কেটে যায়।
শীতকালে ঘরের হাওয়া খুব শুকনো হয়ে যায়, ফলে ত্বক ও নাকে জ্বালা বাড়ে। তাই ঘরে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করা বা জল রাখা – এই ছোট রিচুয়ালটিও খুব কার্যকর।
শীতকালের ওয়েলনেস মানে শুধু গরম কাপড় নয়, বরং শরীর, মন ও দৈনন্দিন রুটিনের সব দিকের যত্ন। হালকা ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর পানীয়, স্কিন–বডি কেয়ার, ভাল ঘুম আর মানসিক শান্তি—এইসব মিলেই শীতের দিনগুলো হয়ে ওঠে আরও আরামদায়ক, উষ্ণ ও ভারসাম্যপূর্ণ।