
চোখের তলার কালি বা ডার্ক সার্কেল অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা। অনিদ্রা, অতিরিক্ত কাজের চাপ, মানসিক দুশ্চিন্তা, কম জল পান, অপুষ্টি, অ্যালার্জি কিংবা জেনেটিক কারণেও এই সমস্যা হতে পারে। যদিও বাজারে নানা ধরনের ক্রিম বা কসমেটিক পণ্য পাওয়া যায়। তবে সব সমস্যার স্মাধানের জন্য কেমিক্যালের উপর ভরসা না করাই ভাল। তার চেয়ে প্রাকৃতিক এবং ঘরোয়া টোটকায় ভরসা রেখে দেখতে পারেন। তাতে এই সমস্যার সমাধান অনেকটাই কার্যকরী হতে পারে। নিয়মিত যত্ন নিলে ধীরে ধীরে চোখের চারপাশের কালো দাগ হালকা হয়ে ত্বক সতেজ ও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। রইল সেই টিপস।
১. শসার টুকরো – শসার ঠান্ডা প্রভাব চোখের চারপাশের রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। দুটি গোল টুকরো কেটে ১০ মিনিট ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এরপর চোখের ওপর ১৫ মিনিট রাখুন। এটি চোখের ফোলা ভাব কমায় এবং ডার্ক সার্কেল হালকা করে।
২. আলুর রস – কাঁচা আলুর রস ত্বক ফর্সা করতে সাহায্য করে। একটি আলু কুরিয়ে নিয়ে রস বের করে তুলোর বলে ভিজিয়ে চোখের তলায় লাগান। ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার করলে কালো দাগ অনেকটাই কমে যাবে।
৩. গোলাপ জল – গোলাপ জল চোখের চারপাশের ত্বককে সতেজ করে এবং রক্তসঞ্চালন বাড়ায়। তুলোর বলে গোলাপ জল ভিজিয়ে কয়েক মিনিট চোখের তলায় লাগিয়ে রাখলে শীতলতা পাওয়া যায় এবং ডার্ক সার্কেল ধীরে ধীরে হালকা হয়।
৪. চায়ের ব্যাগ – গ্রিন টি বা ব্ল্যাক টি-র ব্যবহৃত টি-ব্যাগ ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে নিন। এরপর চোখের ওপর ১০-১৫ মিনিট রাখুন। চায়ের ট্যানিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান চোখের ফোলাভাব ও কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।
৫. দুধ ও মধুর প্যাক – কাঁচা দুধ ও মধু মিশিয়ে চোখের তলায় লাগালে ত্বক আর্দ্র হয় এবং প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফিরে আসে। মধুর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণ ত্বককে কোমল করে এবং দুধের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বকের রং হালকা করতে সাহায্য করে।
৬. নারকেল তেল – নারকেল তেল ম্যাসাজ করলে চোখের চারপাশের রক্তসঞ্চালন উন্নত হয়। এটি ত্বককে আর্দ্র রাখে এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ চোখের তলার কালি কমাতে সাহায্য করে।
৭. পর্যাপ্ত ঘুম এবং জল পান – ঘরোয়া টোটকার পাশাপাশি জীবনযাপনের দিকে খেয়াল রাখা অত্যন্ত জরুরি। প্রতিদিন অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুম এবং পর্যাপ্ত জল পান রক্তে টক্সিন জমা কমায়, ফলে চোখের কালি সহজে কমে যায়।
৮. ভিটামিন-সমৃদ্ধ খাবার – ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাবার যেমন—কমলা, লেবু, পালং শাক, ডালিম, বাদাম, ও আখরোট খেলে ত্বক সুস্থ থাকে এবং ডার্ক সার্কেলের সমস্যা অনেকটাই হ্রাস পায়।