
চুল পড়ে যাচ্ছে—এই চিন্তায় মেয়েদের রাতের ঘুম উড়ে যায়। কিন্তু মাথায় দ্রুত টাক পড়ে পুরুষদের। বেশিরভাগ পুরুষদের জিনগত কারণে চুল পড়ে। কারও ষাট পেরোনোর পর চুল ওঠে, আবার কারও যৌবন থেকে চুলের ঘনত্ব কমতে থাকে। এতে লুক বদলে যায়। পাশাপাশি কমে আত্মবিশ্বাসও। ছেলেরা মাথার চুল নিয়ে সচেতন হলেও মহিলাদের মতো বিভিন্ন প্রসাধনী নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে না। কিন্তু সময় থাকতে চুল যত্ন নেওয়া দরকার তাদেরও। তাঁরা কি নিত্যনতুন শ্যাম্পু বদলাবেন নাকি প্রতিমাসে স্পা করাবেন? জেনে নিন কোন উপায় মেনে চললে মাথায় টাক পড়বে না।
খাদ্যাভ্যাস: পুরুষদের দেহে প্রোটিনের ঘাটতি হলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়ে। চুলের সমস্যা দূর করতে উপযোগী ভিটামিন ই। প্রোটিন ও ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার অবশ্যই খান।
চুল পরিষ্কার রাখুন: রোজ রাস্তায় বেরোতে হয়। তাই ময়লাও পড়ে বেশি। পুরুষেরা কিন্তু নিয়ম করে শ্যাম্পু করে না, ঠিকমতো চুল আঁচড়ায় না। এই ভুল করলে চলবে না। নিয়মিত শ্যাম্পু করতে হবে। আর ভিজে চুলে কখনও চিরুনি দেওয়া যাবে না।
স্ক্যাল্পের খেয়াল রাখুন: পুরুষদের স্ক্যাল্পে তৈলাক্ত হয়। আর ঘামও হয় বেশি। এর জেরে চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে যায় এবং চুল পড়া বাড়ে। তাই স্ক্যাল্পের যত্ন নিন। ভাল মানের শ্যাম্পু ব্যবহার করুন।
হাইড্রেশন: দেহে তরলের ঘাটতি একাধিক সমস্যা ডেকে আনে। ডিহাইড্রেশনের জেরে চুল পড়তে পারে। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল পান করুন। এতে চুল পড়া কমবে। পাশাপাশি একাধিক রোগের ঝুঁকি এড়াতে পারবেন।
গ্রিন টি: দুধ-চিনি দিয়ে চা খাওয়ার বদলে গ্রিন টিয়ের সাহায্য নিন। চুল পড়াতে উপযোগী গ্রিন টি। এই চায়ের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমায়। পাশাপাশি চুল পড়া কমায়। এছাড়া আপনি চুলেও সরাসরি গ্রিন টি স্প্রে করতে পারেন। এক সপ্তাহ এক টোটকা মেনে চললে চুল পড়া বন্ধ হবে।
ঘরোয়া টোটকা: চুল পড়া বন্ধ করতে পুরুষেরাও ঘরোয়া টোটকার সাহায্য নিতে পারেন। পেঁয়াজের রস লাগাতে পারেন চুল ও স্ক্যাল্পে। রাতে পেঁয়াজের রস মেখে ঘুমিয়ে পড়ুন। সকালে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে একদিন এই টোটকা মেনে চলতে পারেন।