
র্যাশ, ব্রণ, চুলকানির মতো হাজার একটা সমস্যার সমাধান লুকিয়ে রয়েছে প্রাকৃতিক উপাদানের মধ্যে। আজও রূপচর্চার দুনিয়ায় ঘরোয়া টোটকার কদর বেশি। ত্বকের সমস্যা যা-ই হোক, সহজ ও কার্যকর উপায় হিসেবে অনেকেই অ্যালোভেরা, বেসন, টক দই, হলুদ, মধুর মতো উপাদানকে বেছে নেন। কিন্তু যখন আপনাকে দুটো সেরা জিনিসের মধ্যে একটাকে বেছে নিতে হবে, তখন কী করবেন? যদি অ্যালোভেরা ও মধুর মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নিতে বলা হয়, কাকে বেশি প্রাধান্য দেবেন?
শুষ্ক ত্বকের সমস্যা, ব্রণর চিকিৎসায় দুর্দান্ত কাজ করে মধু। অ্যালোভেরাও ব্রণ নির্মূল করে, ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। আর দুটোই প্রাকৃতিক উপাদান ও সহজলভ্য। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বকের স্বাস্থ্যও উন্নত হয়। ত্বকের শুষ্ক ভাব দূর করে মধু। আবার অ্যালোভেরা ত্বককে হাইড্রেটেড রাখে। মধু ও অ্যালোভেরার মধ্যে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান রয়েছে, যা ব্রণর সমস্যা দূর করে। ত্বকের ক্ষত নিরাময়ে দুটো উপাদানই দুর্দান্ত কাজ করে। মধু ও অ্যালোভেরার মধ্যে যে কোনও একটা বেছে নেওয়া কঠিন। তবে, ত্বকের ধরন ও সমস্যা অনুযায়ী আপনি ব্যবহার করতে পারেন মধু ও অ্যালোভেরাকে।
শুষ্ক ত্বক: শুষ্ক ত্বকের উপর এক চামচ মধু নিয়ে হালকা হাতে মালিশ করুন। তারপর মুখ ধুয়ে ফেলুন। কিংবা টক দইয়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে ত্বকে মাখুন। ১০-১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ময়েশ্চারাইজার হিসেবে রোজ দু’বেলা মুখে অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন।
তৈলাক্ত ত্বক: তৈলাক্ত ও ব্রণ-প্রবণ ত্বকে রাতে মধু মেখে ঘুমোতে যান। এতে ব্রণর সমস্যা এড়াতে পারবেন। পাশাপাশি এতে ত্বকের ক্ষত দ্রুত নিরাময় হয়ে যাবে। আর তৈলাক্ত ত্বকের উপর রোজ অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন। এতে ব্রণ ও অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাবকে প্রতিরোধ করতে পারবেন।
সংবেদনশীল ত্বক: সংবেদনশীল ত্বক পরিষ্কার করার জন্য মধু ব্যবহার করুন। এটি ত্বকের উপর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই মুখ থেকে ময়লা, জীবাণু পরিষ্কার করে দেবে। আর সানবার্ন, চুলকানি, র্যাশের সমস্যা এড়াতে সংবেদনশীল ত্বকের উপর অ্যালোভেরা জেল মাখতে পারেন।
কম্বিনেশন ত্বক: এক চামচ মধুর সঙ্গে এক চামচ অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। মুখ পরিষ্কার করে এই ফেসপ্যাক লাগিয়ে নিন। ১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। মধু ও অ্যালোভেরার ফেসপ্যাক যে কোনও ধরনের ত্বকের উপর ব্যবহার করতে পারেন।